আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় কিছু এনজিও সম্প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিকে দৃষ্টি দিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচসিআর) এর কাছে দাবি পেশ করেছে। যেখানে বিশ্বের মোট ছয়টি দেশকে কাউন্সিলে ভোট প্রদানে অযোগ্য বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে। এই ছয়টি দেশ হল : বাংলাদেশ, বাহরাইন, এরিট্রিয়া, ফিলিপাইন ও সোমালিয়া।
গত ৮ অক্টোবর ২০১৮, কিছু বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘে এ দাবি তোলে। সংস্থাগুলো মূলত আমেরিকা, কানাডা এবং ইউরোপকেন্দ্রিক। এই ছয়টি রাষ্ট্রের কিছু মানবাধিকার আলামত এবং তাদের জাতীয় নির্বাচনের প্রতি জনগণের অনাস্থা বিবেচনা করে এই দাবি জানিয়েছে সংস্থাগুলো।
এনজিওগুলো এই দেশগুলোকে নিয়ে একটি একুশ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রদান করেছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ইউ ওয়াচ, হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন এবং রাওয়াল ওয়ালেনবার্গ সেন্টার থেকে।
এছাড়াও বিবৃতিতে ভারত, বুরকিনো ফাসো, ফিজি, টোগো- দেশগুলোর মানবাধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। মূলত অনিশ্চিত মানবাধিকারের জন্য এই রাষ্ট্রগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের মানবাধিকারকে আরো উন্নত করারও আহ্বান করা হয়।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাচন ব্যাবস্থা নিয়েও ক্ষোভ আছে জাতিসংঘের জেনেভার কর্মকর্তাদের মধ্যেই। ২০০৬ সালের এই পরিষদের নির্বাচন ব্যবস্থা ঢালাওভাবে সাজান সেই সময়ের জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান। কিন্তু এমন ব্যবস্থাকে সন্মান দেয়া হচ্ছে না বলেই জানান হিললেল নেওয়ার নামের একজন কর্মকর্তা। সৌদি আরব, কিউবা, ভেনেজুয়েলা, চীনের মত রাষ্ট্রগুলোর এই নির্বাচন পরিষদের অংশগ্রহণই এই ক্ষোভের কারণ।
কিন্তু এইবার যেসকল রাষ্ট্রকে অযোগ্য দাবি করা হয়েছে তাদের এই কাউন্সিলে না নেয়ারও জোর দাবি জানানো হয়েছে। এদিকে কানাডার সাবেক আইনমন্ত্রী এবং রাওয়াল ওয়ালেনবার্গ সেন্টার এর প্রধান কটলার জানান, “জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলেই যদি মানবাধিকার বিরোধী রাষ্ট্রগুলো ঢুকে পড়ে তবে তা হবে খুবই দুঃখ জনক। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোর উচিৎ কাউন্সিলের সকল নিয়ম কানুন সুস্থভাবে মেনে মানবাধিকারকে রক্ষা করা।”
হিললেল নেওয়ার আরো বলেছেন, এবার যে সকল দেশ কে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি উঠেছে, তাদেরকে কাউন্সিল থেকে বিতাড়িত না করলে মানবাধিকার ক সন্মান দেয়া হবে না।
সূত্র: স্কুপ ইন্ডিপেন্ডেন্ট নিউজ