দীর্ঘ ১৩ বছর পর ভারত অধ্যুষিত জম্মু ও কাশ্মিরে শুরু হয়েছে স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচন। আজ সোমবার চার দফায় বিভক্ত এ নির্বাচনের প্রথম দফা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কাশ্মিরের সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষা না হওয়ায় রাজ্যটির স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছিল। সে ডাকের ফলে আজ মুসলিম-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে ভোট কম পড়তে দেখা যায়।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রায় ৮০০টি পোলিং স্টেশনেই পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত প্রায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তায় তারকাঁটাযুক্ত লোহার ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। শ্রীনগর এলাকায় ভারত-বিরোধী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
কাশ্মিরী নেতারা ও সশস্ত্র স্বাধীনতাকামীরা ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করে হরতালের ডাক দিয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না কাশ্মিরীদের রাজনৈতিক দল পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স। যার ফলে নির্বাচন স্থানীয়দের স্বার্থ বিরুদ্ধ শুধু বিজেপি ও কংগ্রেসের রাজনৈতিক মসনদ দখলে হয়ে উঠেছে।
কাশ্মির অঞ্চলে ১৫০ ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার মধ্যে ১৩৮টি অতি স্পর্শকাতর এবং জম্মু অঞ্চলে ৬৭০ ভোট কেন্দ্র রয়েছে যার মধ্যে ৫২টি অতি স্পর্শকাতর। জম্মু-কাশ্মির মিলিয়ে মোট ১১৪৫টি ওয়ার্ডে ভোট শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় নির্বাচন ৩২১টি ওয়ার্ডে। পিডিপি ও ন্যাশনাল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় ৭৮টি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। এই নির্বাচরে মোট ভোটার রয়েছে ১.৭ মিলিয়ন।
উল্লেখ্য, ভারত অধ্যুষিত জম্মু ও কাশ্মিরে প্রতিনিয়ত সাম্প্রদায়িক নিষ্পেষণ নেমে আসে । সেনা অভিযানে একের পর এক প্রাণ হারায় নাগরিকরা। এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয় অধিকারে বিরুদ্ধে এই নির্বাচন কাশ্মির পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে।