সরকারি চাকুরিতে আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫% কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত তাদের পিছিয়ে দেবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বহালের দাবিতে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আদিবাসী কোটা বহালের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশংকা করেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আজ বিকাল ৪ টায় রাজু ভাষ্কর্যের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে বলে ঘোষণা দেয়ার পাশাপাশি আগামী ৯ অক্টোবর সারাদেশে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন, ১০ অক্টোবর বিভিন্ন জায়গায় সড়ক অবরোধ ও ১৩ অক্টোবর শাহবাগে প্রতিবাদ গান ও সংহতি সমাবেশে করার ঘোষণাও দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক উইলিয়াম নকরেক। উইলিয়াম নকরেক বলেন, অন্যান্য কোটা সম্পর্কে বিতর্ক ও ভিন্নমত থাকলেও আদিবাসী ও প্রতিবন্ধী কোটা রাখার পক্ষে সবার মত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজে এই অনগ্রসর জন্য কোটা রাখার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সরকার কোটা উঠিয়ে দিল, যা এই জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে দেবে। কোটার সংস্কার হতে পারে, তবে তা তুলে দেয়া আদিবাসীদের জন্য কল্যাণকর হবে না।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, দেশে এখনও অনেক আদিবাসী সম্প্রদায় আছে যাদের কেউ এখনো সরকারি চাকুরিতে আসতে পারেনি। প্রান্তিক অঞ্চলে বসবাসের ফলে আদিবাসীদের শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ভিন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির ফলে বাংলা মাধ্যমে পড়াশুনা করে ভাল ফল করা দুঃসাধ্য। তাদের মধ্যে ঝরে পড়ার হারও বেশি। এই অবস্থায় আদিবাসী কোটা বাতিল তাদের প্রতিনিধিত্ব বাতিল করার শামিল।
এদিকে আজ সোমবার বেলা তিনটা থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণের দাবিতে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এ বিষয়ে ১১ দফা দাবি তুলে ধরে রাতে ও তারা সংবাদ সম্মেলন করবেন।