সৌদি সাংবাদিক ও কলামিস্ট নিখোঁজ, খুনের অভিযোগ সৌদির দিকে

সৌদি সাংবাদিক ও কলামিস্ট নিখোঁজ, খুনের অভিযোগ সৌদির দিকে

নিখোঁজ সৌদি সাংবাদিক ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগি খুন হয়েছে বলে ধারণা করছে তুর্কি পুলিশ। এজন্য তারা সন্দেহ করছে স্বয়ং সৌদি আরবকেই। কেননা জামাল খাশোগি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কট্টর সমালোচনার জন্য জনপ্রিয় ছিলেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংষ্ঞা আনাদোলুকে পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার দুটি মঙ্গলবার দুটি ফ্লাইটে করে ১৫ জন সৌদি ইস্তাম্বুলে আসেন। তারা কনস্যুলেট ভবনে ছিলেন। একই সময় সাংবাদিক জামাল খাশোগিও সেখানে ছিলেন। তিনি ওয়াশিংটন পোস্টে কলাম লিখতেন। ব্যক্তিগত কাগজপত্র নেওয়ার জন্য তিনি সেখানে গিয়েছিলেন এবং ওই ভবন থেকে আর ‘ফিরে আসেননি’।

সুতরাং এটা নিশ্চিত কনস্যুলেট ভবনের দিকেই তুর্কি পুলিশের সন্দেহের তীর। তাদের ধারণা ওই ভবণের মধ্যেই খুন হয়েছে। এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে সৌদি আরব। তারা এই তদন্ত প্রত্যাখ্যান করে তার নিন্দা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, মোহাম্মদ বিন সালমান ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর একের পর এক বিরুদ্ধ মত প্রকাশকারী, বুদ্ধিজীবী ও ইসলামি ধর্মপ্রচারকেরা গ্রেপ্তার হতে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরব ছেড়ে পালিয়ে আসেন ৫৯ বছর বয়েসি জামাল খাশোগি। তিনি বলেছিলেন, জঙ্গি সংগঠন দাবি করে সৌদি আরব মুসলিম ব্রাদারহুডকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। সেই সংগঠনের পক্ষে মত প্রকাশ করায় পান-আরব (যারা আরব জনগণ ও দেশগুলোর জন্য একই রাজনৈতিক মতাদর্শের একক রাষ্ট্র চায়) মতাদর্শের দৈনিক পত্রিকা আল-হায়াতে তার লেখা নিষিদ্ধ করা হয়। ওই পত্রিকা সৌদি যুবরাজ খালেদ বিন সুলতান আল-সৌদের মালিকানাধীন।

খাশোগি ইয়েমেনে ইরান–সমর্থিত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দেশটির সরকারের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের যুদ্ধ করা নিয়েও সমালোচনা করেছিলেন। শুক্রবারের সংস্করণে যেখানে জামাল খাশোগির কলাম ছাপা হয়, সে স্থানটি খাশোগির সমর্থনে এবার ফাঁকা রেখেছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

এই ঘটনার পরে তুরস্কে টানটানা উত্তেজনা বিরাজ করছে। তলব করা হয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে।