রোহিঙ্গা ইস্যুর জল্পনা-কল্পনা পার করে এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার গেল সাম্রাজ্যবাদের করাল গ্রাসে ক্ষত-বিক্ষত ইরাক ও কঙ্গোতে। ইরাকের ইয়াজিদি মানবাধিকারকর্মী নাদিয় মুরাদ ও কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েগে যৌথভাবে এ পুরস্কারে ভূষিত হন। যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ধর্ষণ বন্ধে সংগ্রামের জন্য তারা এ পুরস্কার লাভ করেন।
আজ ৫ অক্টোবর ২০১৮ নরওয়ের নোবেল কমিটি এক সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের পুরস্কারজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করেন। পুরস্কার হিসেবে তারা পাবেন একটি করে সোনার পদক। এবং ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার তারা ভাগ করে নেবেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডিস শিল্পপতি ও এ পুরস্কারের উদ্যোক্তা আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে নরওয়ের অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, নাদিয়া মুরাদ ইরাকের সংখ্যালঘু ইয়াজিদি গোষ্ঠীর একজন অ্যাডভোকেট এবং নারীর মানবাধিকার নিয়ে তিনি কাজ করছেন। তিনি ২০১৪ সালে মসুলে উগ্রবাদী গোষ্ঠী আইএস কর্তৃক অপহৃত ও ধর্ষিত হয়েছিলেন। তিনি ধর্ষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে মুকওয়েগে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর বুকাবোর পানজি হাসপাতালে যৌন সহিংসতার আক্রান্তদের চিকিৎসায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৯৯৯ সালে চালু হওয়ার পর ক্লিনিকটিতে প্রতিদিন প্রায় হাজারখানেক নারী চিকিৎসা নিচ্ছেন, যাদের অনেকেরই সার্জারির প্রয়োজন পড়ছে।