রোহিঙ্গা নিপীড়নের জের ধরে মিয়ানমারের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছে ইইউ। তাদের কমিশনের বৈঠকে শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও খুব শীঘ্রই এই নিষেধাজ্ঞা। পুনরায় মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আহ্বান জানানো হবে। সে আহ্বানে সাড়া না দিলে আরোপ করা হবে ‘নিষেধাজ্ঞা’।
ইইউর ইচ্ছা, মিয়ানমারকে ছয়মাস সময় বেধে দেবে। এই সময়ের মধ্যে মিয়ানমারকে তারা বাধ্য করবে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করবে। এবং রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়ন বন্ধে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মিয়ানমারের উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে, ইইউ ভুক্ত দেশগুলোতে আর বিনা শুল্কে পণ্য রপ্তানি করতে পারবে না দেশটি। মিয়ানমারের সবচেয়ে লাভজনক পোশাকশিল্পও একই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে। ফলে মিয়ানমার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। এর ফলে চাকরি হারাবে অসংখ্য শ্রমিক। যা দেশটিকে ভয়াবহ মানবিক সংকটে ফেলে দেবে।
এদিকে আগস্ট মাসে জাতিসংঘ মিয়ানমারে সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবেদন করে। যেখানে সেনা প্রধান মিং অং হ্লায়েংসহ ছয় সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিচারের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু তারা এই প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেন। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পূর্ণ এখতিয়ার নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের দুটি সামরিক ইউনিটের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে ইইউ’র এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।