যতদিন যাচ্ছে ততই কূটনৈতিক লড়াই বাড়ছে। বাড়ছে নিজেদের অস্তিত্বকে সুদৃঢ় করার প্রত্যয়। আমেরিকা-ইরানের এই বিরোধে আমেরিকাকে কুপোকাতই করে ফেলছে ইরান। গতকাল আন্তর্জাতিক আদালতে করা আপিলে জয়লাভের পর আজ দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি বলেছেন, ইরানের অর্থনীতির তুলনায় আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা ‘অনেক বেশি ভঙ্গুর’। তিনি আরও বলেছেন, ইরানি জনগণ এ নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ করে দিয়ে আমেরিকার ‘গালে আরেকবার চপেটাঘাত করবে’।
ইরানের রাজধানী তেহরানের আজাদি স্টেডিয়ামে ইরানের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি এই হুমকি দেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা নিষেধাজ্ঞাকে ব্যর্থ করে দেব এবং সে ব্যর্থতা হবে আমেরিকার পরাজয়”।
খোমেনি বলেন, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব, এরপর ইরাক সরকারের চাপিয়ে দেয়া আট বছরের যুদ্ধ এবং বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী ও ইহুদিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে গত ৪০ বছরের প্রতিরোধ ইরানকে ‘অপরাজেয়’ শক্তিতে পরিণত করেছে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট (ডোনাল্ড ট্রাম্প) ইউরোপীয় নেতাদের বলেছেন, ইরানের পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নের আগে আর দুই তিন মাস অপেক্ষা করুন। দেখবেন ইরান সরকারের পতন ঘটে গেছে। সর্বোচ্চ তো বলেন, ৪০ বছর আগে তৎকালীন মার্কিন সরকারও বলে বেড়াত, আর ছয় মাস পরেই ইরানের ইসলামি সরকারের পতন হতে যাচ্ছে। ছয় মাস পর বলত, আর এক বছর পর এ ঘটনা ঘটবে। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। বরং তখনকার ইরানের ইসলামি সরকারের ছোট্ট চারাগাছটি আজ বিশাল বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে।
বিগত ৪০ বছরে ইরান আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, ইরানের বিপ্লব ও জনগণের বিপ্লবী চেতনা উপলব্ধি করতে শত্রু ব্যর্থ হয়েছে এবং এই ব্যর্থতার কারণে তাদের তেহরান বিরোধী সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।