তুরস্কের পর এবার এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আসছে ভারতের ঘরে। রাশিয়ান এই আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চুক্তি করতে আগামি ৪ এবং ৫ অক্টোবর দিল্লি সফর করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার উপস্থিতিতেই এই চুক্তি সম্পাদিত হবে বলে জানিয়েছেন রুশ কূটনৈতিক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ইউরি উসাকভ।
তুরস্ক এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয়ের সিদ্ধান্ত থেকে না সরায়, আমেরিকা তাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সেই সাথে সতর্ক করেছিল ভারতকেও। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি বলাও হয়েছিল, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কিনলে দিল্লিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারে। এমনকি রুশ অস্ত্রের কেনা-বেচা ঠেকাতে বিশেষ আইনও প্রণয়ন করে দেশটি। রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনলে ‘একঘরে’ করার ঘোষণাও আসে। কিন্তু সেসবকে উপেক্ষা করে তুরস্ক ও চীনের পর এবার অস্ত্র ক্রয়ের চুক্তি করছে ভারত। এই অস্ত্র ক্রয়ে ভারতকে খরচ করতে হচ্ছে ৩৬ হাজার ৬৬৭ কোটি ভারতীয় রুপি।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে রাশিয়া প্রথম বিশ্ব বাজারে উন্মুক্ত করে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা ৪০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত শত্রু ক্ষেপণাস্ত্রকে চিহ্ণিত করতে পারে এবং একই সঙ্গে ৪৮টি শত্রু ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করে মাটিতে নামাতে পারে এস-৪০০। অত্যাধুনিক যে সব যুদ্ধবিমানকে রাডারে ধরা যায় না, তাদেরও চিহ্ণিত করতে পারে এই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা। এই রুশ যুদ্ধাস্ত্র হাতে এলে নিশ্চিত ভাবেই বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
ভারতের এই অস্ত্র ক্রয়ে আমেরিকা বিরোধীরা বাহবা দিলেও, তা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য খুব একটা সুখবর নয়। কেননা, দক্ষিণ এশিয়ার নিজস্ব রাজনীতিতে শত্রু-মিত্র রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভারতের সামরিক শক্তির সাথে এস-৪০০ এর মতো অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিবেশি দেশগুলোর সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।