মিনিমাম পয়েন্টে ঐক্য গড়তে সিপিবি-বাম জোটের দ্বারস্থ আওয়ামী লীগ

মিনিমাম পয়েন্টে ঐক্য গড়তে সিপিবি-বাম জোটের দ্বারস্থ আওয়ামী লীগ

এই জাতীয় ঐক্য চাচ্ছেন তো, ঐ চাচ্ছেন না। মূলত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি পার করছেন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের রাজনীতিবিদরা। তাদের বক্তব্যের দিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে, তাদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগটাও বোধ হয় সঠিকভাবে হচ্ছে না। তাই এক একজন একেক কথা বলছেন।

দিন যত যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সুর তত নরম হচ্ছে। উপায় না পেয়ে এবার কমিউনিস্টদের ‘সহোদর’ প্রমাণের চেষ্টায় লিপ্ত হতে দেখা গেলো দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে। তিনি বলেছেন, কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন আট দলীয় জোটের অনেকের সঙ্গে আমরা এক সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি করেছি। তাদের আদর্শের প্রতি আমার কোনো অশ্রদ্ধা নেই। এখানে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এই প্রশ্নে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের ৫১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, “আজকে একটি বিষয় ভালো লাগছে যে, বামপন্থীরা এক সুরে কথা বলছেন। সেটি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে তারা নেই। এই উচ্চারণ যারা করেছেন, আসুন না আমরা মিনিমাম পয়েন্টে ম্যাক্সিমাম ইউনিটি গড়ে ফেলি, অসুবিধাটা কোথায়?”

ওবায়দুল কাদের জাতীয় ঐক্যের কথা বলেন, “আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরাও জাতীয় ঐক্য চাই। আমরা জাতীয় ঐক্য চাই সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। আমরা জাতীয় ঐক্য চাই স্বাধীনতার শত্রুদের বিরুদ্ধে। আমরা জাতীয় ঐক্য চাই নষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে। আমরা জাতীয় ঐক্য চাই দুর্নীতি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। আমরা জাতীয় ঐক্য চাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে। আমরা জাতীয় ঐক্য চাই এ দেশের জন্মের চেতনা, এই চেতনা নিয়েই আমরা জাতীয় ঐক্য চাই।”

অথচ দু’দিন আগেই গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন করে বিএনপির সমাবেশস্থল থেকে গ্রেফতার করেছে দলটির কয়েকশত নেতাকর্মী। এই গ্রেফতার নিয়ে ওবায়দুল কাদের যে উত্তর দিয়েছেন তাতে প্রতিহিংসা স্পষ্ট। তিনি বলেন, ইতিহাসটা দেখুন। ফেরিতে প্লেট চুরির জন্য আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল কারা? কত মামলা নিয়ে আমরা নির্বাচনে গিয়েছি? আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী বাড়ি ছাড়া। সাধু সাজে কারা? কত মামলায় তারা আমাদের জর্জরিত করেছে?

এ থেকে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, তবে কি এজন্যই এতো মামলা, এত হয়রানি। অন্যদিকে সংগঠিত আট দলীয় বামজোটকে নিজেদের দলে টানার জন্য নতুন করে ‘মোটিভেশনাল’ বক্তব্য দিচ্ছে।