ভারতে আবারও কৃষক বিক্ষোভ, দিল্লি পৌঁছানোর আগেই পুলিশি বাধা

ভারতে আবারও কৃষক বিক্ষোভ, দিল্লি পৌঁছানোর আগেই পুলিশি বাধা

ফ্যাসিবাদী সরকারকে যে বারবার অরাজনৈতিক বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয়, তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ বাংলাদেশ এবং ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি। মার্চে ভারতের মহারাষ্ট্রে কৃষক বিদ্রোহের পর আবারও কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল মোদি সরকারকে। এবার উত্তর প্রদেশের হাজার হাজার কৃষকের অংশগ্রহণে ‘ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন’র দিল্লি যাত্রা সামলাতে হচ্ছে মোদি সরকার ব্যবহার করছে টিয়ার গ্যাস, জলকামানের মত অস্ত্র। আর লাঠিচার্জতো আছেই।

ঋণ-মওকুফ, বিদ্যুৎ বিল ও জ্বালানি তেলে মূল্য হ্রাসের দাবিতে উত্তর প্রদেশের এই কৃষক মিছিল দিল্লি অভিমুখে যাত্রা করে ‘কিষাণ ইউনিয়ন’র মিছিল। প্রদেশটির হরিদ্বার থেকে রুরকি, মুজফফরনগর ও গাজিয়াবাদ রুট হয়ে দিল্লিতে প্রবেশের কথা থাকায়। দিল্লি পুলিশ ওই রুট বন্ধ করে দেয় এবং গাজিয়াবাদ সীমানা সিল করে দেয়া হয়েছে। উত্তরপূর্ব ও পূর্ব দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। উত্তরপূর্ব দিল্লির ডিসিপি অতুল কুমার ঠাকুর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “৪ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লি নিরাপত্ত বলয়ে মোড়া থাকবে। উত্তর প্রদেশ ও দিল্লি সীমানায়ও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। ” অন্যদিকে পূর্ব দিল্লির সহ পুলিশ কমিশনার পঙ্কজ সিং তার অঞ্চলে ৮ তারিখ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।

এমন নিরাপত্তা প্রস্তুতির মধ্যেও আজ মঙ্গলবার মিছিল অভিমুখে যাত্রা করলে দিল্লি পুলিশ শান্তিপূর্ণ এই মিছিলে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে রাজ্য সীমান্তেই আটকে দেয়। যদিও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “কৃষকদের অবশ্যই রাজধানীতে ঢুকতে দেওয়া উচিত। কেন ঢুকতে দেওয়া হবে না তাদের? এটা একদম অনুচিত কাজ হচ্ছে। আমাদের সরকার সবসময়ই কৃষকদের সঙ্গে রয়েছে”।

উল্লেখ্য, স্বামীনাথ কমিশনের রিপোর্ট কার্যকর না হওয়ায় এবং কৃষক-বান্ধব নানা দাবিতে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের এই পদযাত্রা। ‘কিষাণ ক্রান্তি যাত্রা’ শিরোনামের এই পদযাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়নের সভাপতি রাকেশ টিকাইত। ১৯৮৮ সালে কিষাণ ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্র সিং টিকাইতের নেতৃত্বে ৫ লাখ কৃষকের দিল্লি অভিমুখে যাত্রা তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।