কোরিয়া উপদ্বীপের শান্তি প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে সে কথা বলাই যায়। আর এ শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে সীমান্ত থেকে ল্যান্ডমাইন সরানো শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। গতমাসে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পিয়ংইয়ংয়ে বৈঠক করেন, যেখানে এই মাইন সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এলাকা ‘জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়া’ (জেসিএ) থেকেই কাজ শুরু করেছে দেশটি। কোরিয়ান যুদ্ধবিদ্ধস্থ বিভিন্ন এলাকা থেকেও এই কাজ করা হবে। এছাড়াও সীমান্তে যে অঞ্চলগুলোতে দুই পক্ষের সেনারা মুখোমুখি অবস্থানে থাকে এমন সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে ২০ দিনের মধ্যেই মাইন সরানোর কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা।
ল্যান্ডমাইন সরানোর কাজ শেষ হলে গার্ডপোস্ট এবং ভারী অস্ত্র সরানোর কাজ শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এক বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এর পর বর্ডারে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা হালকা করা হবে। সীমান্তে উত্তেজনা কমানোই লক্ষ্য দু’দেশের।
উল্লেখ্য, গত বছরে নভেম্বরে সীমান্ত এলাকায় উত্তর কোরিয়ার একজন সৈনিক নিজের সেনাবাহিনীর গুলিতেই আহত হয়। দু’দেশের প্রায় দশ হাজার সৈনিকের অবস্থান এই সীমান্তের উচ্চনিরাপত্তার এলাকাগুলোতে। দক্ষিণ কোরিয়া সুত্রে জানা যায়, উত্তর কোরিয়ার বিদ্রোহীদের অনুপ্রবেশ কিমের ক্ষমতাকালে প্রায় শুণ্যের কোটায়। তবে তাদের দুই পক্ষের ইচ্ছা সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা। ১৯৫৩ সালের যুদ্ধের পর থেকেই উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিলো। এর জের ধরেই সীমান্তে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো। তবে দুই পক্ষের সাম্প্রতিক বৈঠকের পর থেকেই শান্তির একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে কোরিয়া অঞ্চলে। বছরের পর বছর বিশ্বনেতার ‘সহোদর’ দুই দেশের এই সংঘর্ষের অবসান চেয়ে আসছিল। কিম জং উনের উদ্যোগেই এখন সে সংঘর্ষের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। কোরিয়ান উপদ্বীপে শান্তির সুবাতাস বইছে।