ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস কর্তৃক ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও স্যার এ এফ রহমান হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম রুহুল আমিনকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সদ্য-সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেছেন।
রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূতভাবে একজন সিনিয়র নেতাকে মারধর করেছে অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা। আজ রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ধানমন্ডি ৩/এ আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে সাক্ষাৎকালে তারা এই দাবি জানান।
মারধরের বিষয় নেত্রী (শেখ হাসিনাকে) জানানোর ইচ্ছে ছিলো জানিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, “বিষয়টি নেত্রীকে জানানোর ইচ্ছে ছিল। কিন্তু তিনি দেশে না থাকায় আমরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে তুচ্ছ ঘটনার কারণে ছাত্রলীগের সিনিয়র একজন নেতাকে মারধর করার বিষয়টি জানাই।”
ওবায়দুল কাদের কর্তৃক সুষ্ঠু তদন্ত করার আশ্বাস সম্বন্ধে তিনি বলেন, এই ঘটনার আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছি। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
সাক্ষাৎকালে ছাত্রলীগের গত কয়েক কমিটির শতাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। এদের মাঝে হেমায়েত উদ্দিন, সোহেল রানা মিঠু, হাসানুজ্জামান লিটন, শিহাবুজ্জামান শিহাব, নাজমুল হুদা ওয়ারেশি চঞ্চল, মামুনুর রশীদ মামুন, রেজাউল হাসান রেশিম, সায়েম খান, মাকসুদ রানা মিঠু, আসাদুজ্জামান নাদিম, শেখ তুহিনসহ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ তারিখ মধ্যরাতে কথা-কাটাকাটির জের ধরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রুহুল আমিনের বড়ভাই ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহিমের শাশুড়ি মারা গেলে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মরদেহ নিতে রুহুল আমিন, আব্দুর রহিম এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রানা ও রুহুল আমিনের ভাবী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনে লিফটে উঠার সময় কথাকাটি হওয়ার পর রুহুল আমিনকে সঞ্জিত চন্দ্র দাস এবং তার অনুসারীরা মারধর করেন বলে জানান তারা