দু’বার তারিখ পেছানোর পর ২২টি শর্তে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর আজ দুপুর ২টায় শুরু হয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি’র জনসভা। আর দোলাচলের মধ্যে থাকার পরেও জনসভা ছিল লোকে-লোকারণ্য। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দলটির বর্তমান চেয়ারপারসন তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন’র দাবিতে এদিন রাজপথে তৈরি হয় জনজোয়ার। জনসভা শুরু আগেই দলটির নেতা-কর্মীরা পৌঁছে যায় সমাবেশ স্থলে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে বিএনপি’র পক্ষ থেকে ৭ দফা উপস্থাপন করা হয়। এই দাবিগুলো উপস্থাপন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির সমাবেশে ৭ দফা :
১. তফসিলের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি।
২. তারেক রহমান সহ সকল নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।
৩. সংসদ ভেঙ্গে নিরপেক্ষ সরকার গঠন।
৪. নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠন।
৫.সেনাবাহিনী মোতায়েন।
৬.ইভিএম পদ্ধতি বাতিল ও
৭. নতুন করে মামলা দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
৭টি দফা ছাড়াও বিএনপি’র পক্ষ থেকে ক্ষমতায় গেলে বিশটি লক্ষ্যের কথা বলেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথাও বলেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। সদ্য পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সাত দিনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করবে। তিনি এই আইনকে ১৯৭৫ সালের বাকশালের চেয়ে জঘন্য বলে মন্তব্য করেন।
সমাবেশের অনুমতি নিয়ে প্রশাসনের তালবাহানার জবাবে বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, আগামীতে আর জনসভার অনুমতি নেবো না, প্রশাসনকে মৌখিকভাবে অবহিত করেই জনসভা হবে।
অন্যদিকে সমাবেশের সভাপতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির পরবর্তী কর্মসুচির ও ঘোষণা দেন। আগামী ৩ অক্টোবর জেলা পর্যায়ে সমাবেশ ও ডিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও ৪ অক্টোবর মহানগরে সমাবেশ করার কথা জানান তিনি। তিনিও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতি দেন।
এর আগে এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বিএনপিকে অচল করে দেবার ষড়যন্ত্র করছেন। আমি বলবো, আপনারা চীনা বাদাম খাওয়ারও সময় পাবেন না। এমনভাবে বিদায় করা হবে।

এছাড়াও বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্য রাখেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন,ব্যারিষ্টার জমিরউদ্দীন সরকার, ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নাল আবেদিন, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুইয়া, জয়নুল আবেদীন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবীব, ফজলুর রহমান, হবিবুল ইসলাম হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মুজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক, ফজলুল হক মিলন, মাহবুবুর রহমান শাহীন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস আকতার, শামা ওবায়েদ প্রমুখ। আরও বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুইয়া, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আসাদুল হাবিব দুলু, এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহ্উদ্দিন আহমদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান।