স্বাধীনতার জন্য উত্তপ্ত কাশ্মিরে নেই জনগণের সরকার। চলছে রাজ্যপাল শাসন। এমন অবস্থায় পাকিস্তানে ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া এবং দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর চিঠি চালাচালি আশার আলো দেখাতে শুরু করেছিল ‘অহিংস’ জনসাধারণকে। কিন্তু ‘স্বাধীনতা’যে সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া সম্ভব না। হয়তো তাই ঠুনকো অভিযোগে ভারত বাতিল করেছিলো পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। আর তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছিলো পাকিস্তান।
সেই ক্রোধের জবাব দিতে বেশি দিন নিলেন না ইমরান খানের প্রশাসন। জম্মু ও কাশ্মিরের ভারতীয় আকাশ সীমায় প্রেরণ করলেন পাক হেলিকপ্টার। আজ রবিবার দুপুরে হঠাৎ করেই পাকিস্তানি সীমানা পেরিয়ে ভারতীয় সীমায় ঢুকে পড়ে পাক হেলিকপ্টার। তাতেই শুরু হয়ে গেছে উত্তেজনা। ভারতীয় সেনারা প্রথমে সতর্ক করলে তা মানে নি । এরপরই উত্তেজনা শুরু হয়। গুলি করে মাটিতে নামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে ভারতীয় সেনারা।
ধারণা করা হচ্ছে, হেলিকপ্টারটি বেসামরিক হেলিকপ্টার ছিল। যদিও এবিষয়ে কোন দেশই এখনো পর্যন্ত কিছু নিশ্চিত করেনি।
উল্লেখ্য, পাক-ভারত সীমান্তে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন ধরণের এয়ারক্রাফট দেখা দিলে তা সীমানা লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হয়। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় সীমানার প্রায় ৩০০ মিটারের কাছে চলে এসেছিলো। এতে করে ভারতীয় সেনাকর্মকর্তারা মনে করছেন, এটি পাকিস্তানের পক্ষে থেকে আকাশ পথে সংঘর্ষের ইঙ্গিত। তা কাকতালীয় নয়। এখন দেখার বিষয় এই উত্তেজনা কতদূর যায়।