এশিয়া কাপের ফাইনালের আলোচ্য বিষয় হতে পারত দুই দলের পারফর্ম্যান্স। সাফল্য বা ব্যার্থতা। তবে, পনেরো বিশ্বকাপের নিয়ম নেমে এ ম্যাচেও আলোচনার শীর্ষে আম্পায়ার। একবার মানবিক ভুলের ব্যাখ্যা প্রহসন ঠেকলেও সহ্য করা যায়, তবে বারবারই মানবিক ভুলের শিকার যখন একই দল হয় তখন অন্য কিছু নিয়ে আলোচনার আগ্রহটা আর থাকে না।
পনেরোর বিশ্বকাপের ক্ষত এখনো এদেশের মানুষের মন থেকে শুকায়নি। রোহিত শর্মার পরিষ্কার আউট ঝাপসা চোখে দেখা আম্পায়ারের অদ্ভুত সিদ্ধান্তে নট আউট হয়ে যাওয়া, এবং বাউন্ডারি লাইনে শেখরের নেয়া ক্যাচ কোনো রকম দেখেই ভারতের পক্ষে সিদ্ধান্ত শোরগোল তুলেছিল ব্যাপক। আইসিসি কতটা সৎ, তার প্রমাণ পাওয়া যায়, রুবেলের করা সেই বলটির অস্বিত্ব ম্যাচের হক আই থেকে বিলীন করে দেয়ার মধ্য দিয়েই। এহেন নির্লজ্জ্ব পক্ষপাত ক্রিকেট বিশ্ব কোনো দিন দেখেছিল কি না তা গবেষণার দাবি রাখে।
ভারতের বিপক্ষে সেই হার খেলোয়াড়দের মনে কতটা ক্ষতের সৃষ্টি করেছিল সেটি দেখা গিয়েছিল পরের সিরিজেই। যাতে ১-২ ব্যবধানে হেরে বাংলার মাটি ছেড়েছিল ভারতীয়রা। মূলত বিশ্বকাপের পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই যেন অলিখিত এক যুদ্ধ। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে মাঠের বাইশ জনকে ছাপিয়ে বরাবরই আলোচনায় এসে পড়েন আম্পায়াররা।
মাশরাফির ম্যাজিকে ওপেনিংয়ে বদল এনে অভাবিত এক শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সংগ্রামরত লিটন খেলছিলেন ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাঁখার মতন এক ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করে যখন ভালো কিছু স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ শিবির; তখনই দ্বাদশ খেলোয়াড় রুপে আম্পায়ারের আগমন। বোলাররা যখন লিটনকে দস্যু জ্ঞান করছেন তখন আম্পায়ারের সাহায্যের অবারিত হাত। স্পষ্ট ক্রিজে পা থাকার পরেও স্ট্যাম্পড লিটন!
বিষয়টি যদি এমনই হয় যে, যেনতম রুপে ভারতকে জেতাতেই হবে, তাহলে খামোকা নাটকের দরকার কী? ভারতকে সর্বজয়ী ঘোষনা করে দিলেই তো হয়। মাঠের লড়াইয়ে না পারা একটি দল যখন আইসিসির অভ্যন্তরে নিজেদের প্রভাব কাজে লাগিয়ে ফল অনুকুলে নিয়ে আসে সেটা নগ্ন দৈন্যতা বৈ আর কিছুই না।
ভারতের চালান বলতে যদি বলি, কুৎসিত কিছু বিজ্ঞাপন বানিয়ে বেহায়ার মত নিজেদের লজ্জাজনক ইতিহাসের জানান দেয়া এবং আম্পায়ারকে ব্যবহার করে ম্যাচ নিজেদের অনুকুলে নিয়ে আসা বোধহয় খুব ভুল বলা হবে না। এমন একটি দল র্য্যাঙ্কিংয়ের একে থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক!
বাস্তবতা হচ্ছে, ভারতের মত নির্লজ্জ্ব ক্রিকেট দল দ্বিতীয়টা নেই। আফগান ম্যাচের পরে যদি এটা বলা হয় আম্পায়ার নামক দ্বাদশ ব্যক্তি বৈ ভারত কারো কাছেই পাত্তা পাবে না, সেটি নিয়ে আপত্তি করার মতন মানুষ বোধহয় খুব কমই পাওয়া যাবে। নির্মম সত্য হচ্ছে এই দ্বাদশ ব্যক্তির উপর ভর করেই চলে ভারতের ক্রিকেট। যার আরো একটি উদাহারণ দেখা গেল এশিয়া কাপের ফাইনালে!