পাকিস্তানে ৫৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আশ্বাস চীনের

পাকিস্তানে ৫৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আশ্বাস চীনের

পাকিস্তান ও চীনের বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালী অনেক আগে থেকেই। কিন্তু ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এই বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। সে সংশয় দূর হলো। পাকিস্তানের বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে চীন। তার এই বিনিয়োগ করছে এমন সময় যখন আমেরিকা চীনের প্রকল্পের উপর কড়া নজর রাখছে এবং পাকিস্তানের সাথে অর্থ প্রদান নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে।

যদিও চীন এবং পাকিস্তান উভয়ই আমেরিকার এই সব ধরণের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করছে। তারা বলছেন, পাকিস্তানে তারা একটি টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চান। পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথেও তাদের সবরকম উন্নয়ন অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে। ইমরান খানের সরকারের সাথে তাদের সুসম্পর্ক বহাল রাখতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেষণের ফাঁকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি এবং ওয়াং ই বৈঠকে বসেন। যেখান থেকে এই সিদ্ধান্ত আসে।

এর আগে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন-পাকিস্তানের সম্পর্কে কোন ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন। উভয় রাষ্টই চায় তাদের সম্পর্ক অটুট রাখতে। বিশেষ করে উন্নয়ন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে। চীন-পকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর স্থাপন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা চীনের প্রধান লক্ষ্য।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনভাবেই পাকিস্তান-চীনের সম্পর্ক খুন্ন করা সম্ভব না। এই অর্থনৈতিক করিডোর ব্যাবস্থা পাকিস্তানের কর্মসংস্থানের জন্য এবং টেকসই একটি উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান এই করিডোরের নিরাপত্তা যথাযথ ভাবে রক্ষা করতে প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, চীনের জিনজিয়ান প্রদেশে পাকিস্তানের কিছু ব্যাবসায়ীর পরিবার আটক আছে। ওই অঞ্চলের সহিংসতার পর থেকেই তারা সেখানে আটক আছেন। এই ব্যাপারে চীন সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।