নির্বাচনে না এলে নিবন্ধন বাতিলের পরোক্ষ হুমকি ইসি সচিবের

নির্বাচনে না এলে নিবন্ধন বাতিলের পরোক্ষ হুমকি ইসি সচিবের

শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া যে সরকারকে ভাবাচ্ছে তা পরিষ্কার করে বলাই যায়। এবার নিবন্ধন বাতিলের পরোক্ষ হুমকি দিয়ে বসলেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন। তিনি বলেন, যদি কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল পরপর দুইবার নির্বাচনে অংশ না নেয়, সে ক্ষেত্রে ওই দল নিবন্ধন ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, কমিশন থেকে আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তারা মিটিং করে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবেন। মন্ত্রিসভায় যদি এটি অনুমোদন হয়, তাহলেই সংসদে যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি কোন পর্যায়ে আছে তার কোন তথ্য পাইনি। যদি এটি সংশোধন হয়, তাহলে ভালো; আর না হলেও তার প্রস্তুতি আছে। আগের আরপিও দিয়েও নির্বাচনের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব। ফলে বিদ্যমান আরপিও দিয়ে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইসি সচিব আরও বলেন, ৩০ অক্টোবরের পর যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। এই বিষয়টি সামনে রেখে ইসি সচিবালয় বিভিন্ন প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা সারা দেশের ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্রের তথ্য পেয়েছি। সেগুলো প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। যখন তফসিল ঘোষণা করা হবে, তখন রিটার্নিং কর্মকর্তারা কেন্দ্রগুলোর তালিকা আমাদের কাছে পাঠাবে। এরপর সেগুলো গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, আজ থেকে ১০ আঞ্চলিক অফিসে ভোটার তালিকার সিডি পাঠানোর কাজ শুরু করব। নিয়মিত কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে দিক নির্দেশনা দিচ্ছি। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল হাকিম হিসেবে যারা কাজ করবেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পরপরই এটি শুরু হবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অঞ্চলভিত্তিক হবে। যারা তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন তাদের প্রশিক্ষণও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

বিতর্কিত ইভিএম বিষয় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহার করবে কি করবে না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আরপিও সংশোধন হলে এ বিষয় কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। যদি এই সংসদে এটি নাও হয়, আমাদের অনেক স্থানীয় নির্বাচন আছে। সেখানে আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারব।

নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরে নির্বাচন মনে করেই তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন। কিন্তু দেখার বিষয়, দেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দলকে ছাড়া নির্বাচন আয়োজন করে কমিশন নিজেদের কতটুকু দায়িত্বশীল প্রমাণ করতে পারেন। নির্বাচনে না গেলে নিবন্ধন বাতিলের হুমকিও হয়তো এই রাজনৈতিক দলগুলো আমলে নেবে।