নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক লেনদেনে আমেরিকান মুদ্রাকে পাশ কাটিয়ে বাণিজ্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আজ আমেরিকান অর্থনৈতিক অবরোধকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইরান এই চুক্তি সম্পাদন করেছেন।
খনিজ তেল মজুদ এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক লেনদেন করার জন্যেই করা হচ্ছে এমন চুক্তি। লেনদেনের জন্য অর্থ প্রদানের নতুন ব্যবস্থা থাকবে যার মাধ্যমে আমেরিকার অবরোধকে খুব সহজেই পাশ কাটিয়ে আইনিভাবেই এই নতুন অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হচ্ছে এমনটাই জানিয়েছেন ইইউ’র বৈদেশিক নীতিস্থাপন বিভাগের প্রধান ফেডরিকা মোগারিনি।
ইরানের বিরুদ্ধে উল্লেখ্য অবরোধ ২০১৫ সালে পরমানু চুক্তির পর উঠিয়ে নেয়া হয়। কিন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর আবার বাণিজ্য অবরোধ দেয়া হয় ইরানের বিরুদ্ধে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে এ বিষয়ে বৈঠকে বসেন ফেডরিকা এবং এই বৈঠক থেকেই এমন সিদ্ধান্ত আসে বলে জানা যায়।
এই গোপন বৈঠকের পর ফেডরিকা আরো জানান এই চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের সকল সদস্য রাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন মেনে ইরানের সাথে যে কোন বৈধ বানিজ্য করতে পারবে।
চীন-রাশিয়া সহকারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি যৌথ বিবৃতি জানিয়েছে এই চুক্তির মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে সব রকমের এবং বিশেষ বাণিজ্য সহায়তা পাবে ইরান। এই বিবৃতিতে আর বলা হয় ২০১৫ সালে করা পরমানু চুক্তি অনুযায়ী তারা ইরানের উপর এখনো ভরসা রাখে এবং তারা তাদের অঙ্গিকার মত ইরানের সাথে চুক্তি মোতাবেক সম্পর্ক স্থাপন করে যাবে। উল্লেখ্য, এই পরমানু চুক্তিটিতে চীন-রাশিয়াসহ ছয়টি দেশের স্বাক্ষর ছিল।
তবে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তিটি ইরানের সাথে যেমন চীন-রাশিয়াসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভালো করবে তাই না বরং ইরান আমারিকাকে এই চুক্তির মাধ্যমে একটি দাঁতভাঙ্গা জবাবও দিতে সমর্থ হবে। যদিও এই চুক্তির বিষয়ে আমেরিকা এখনো কোন বিবৃতি দেয়নি।