বড় আসর মানেই যেন মাহমুদুল্লাহর বাজিমাত। ‘১৫ এর বিশ্বকাপ, এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং এবার এশিয়া কাপ; বাংলাদেশের স্বরণীর ম্যাচগুলোর প্রত্যেকটিতেই রয়েছে মাহমুদুল্লাহ ম্যাজিক।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা সাফল্যের অন্যতম নায়ক তিনি। তার ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি প্রথমবারের মত বাংলাদেশকে দিয়েছিল বিশ্বকাপে নক-আউট খেলার স্বাদ। এরপর এখন পর্যন্ত আইসিসির যে কোনো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য; চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে খেলাও সম্ভব হয়েছিল তার অনবদ্য একটি সেঞ্চুরির কারণে। চলতি এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচটিতে আরো একবার উজ্জ্বল এই আনসাং হিরো।
দলের চূড়ান্ত বিপদে ব্যাট হাতে নেমে খেলেছেন সময়োচিত একটি ইনিংস। ইমরুলকে নিয়ে জুটি গড়ে ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন লড়াই করার। এরপর বল হাতে ফিরিয়েছেন ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা শেহজাদকে। টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে পাঁচ ওভারে তার কৃপণ বোলিংও সাহায্য করেছে আফগানদের ওপর চাপ বাড়াতে। ব্যাট-বলের পর ফিল্ডিংয়েরও নিজের জাত চিনিয়েছেন দারুণ একটি ক্যাচ নিয়ে।
পরিতাপের বিষয় হল নিয়মিত পার্ফর্ম করার পরেও মাহমুদুল্লাহ এক অবহেলার নাম। মিডল অর্ডারে নেমে একাধিকবার ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস উপহার দেয়ার পরেও নানান ছুতোয় তার ব্যাটিং অর্ডারে ডিমোশন হয়, কখনো বা ছিটকে পড়েন দল থেকেই। ম্যানেজমেন্ট’র খেয়ালী আচরণের শিকার হয়েও নিরবেই নিজের কাজটি ঠিকই করে যান তিনি।
সামনে পাকিস্তান বাঁধা, এটি পেরোতে পারলেই আরো একবার এশিয়া কাপের ফাইনাল। সেটি যদি সম্ভব হয়, তাহলে তার পিছনে অন্যতম কারণ হয়ে থাকবে মাহমুদুল্লাহর এই ইনিংসটি। কিন্তু এতেও কি মন ভরবে ম্যানেজমেন্ট’র?