রাজি হওয়ার একদিন পরই জানা গেল, প্রতীক্ষিত পাক-ভারত বৈঠক আর হচ্ছে না। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন বার্ষিক বৈঠকের ফাঁকে দু’দেশের পরারাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যে বৈঠক হওয়া কথা ছিল তা বাতিল ঘোষণা করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, পাকিস্তান সীমান্তে বিএসএফের একজন সদস্যের মৃত্যু এবং কাশ্মিরের সোপিয়ানে তিন পুলিশকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বৈঠক বাতিল করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, ভারত একটি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করলো। দুই দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায় সূচনার একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল বলে তারা মন্তব্য করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন বার্ষিক বৈঠকের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরায়েশির মধ্যে বৈঠক হবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের চিঠি পাওয়ার পর বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছিল ভারত।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ইমরান খানকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিনন্দন জানিয়ে এক চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠিতে বলা হয়েছিল, সুসম্পর্ক রক্ষার একমাত্র উপায় গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে শান্তি স্থাপন। সেই চিঠির উত্তরে ইমরান খুব সম্প্রতি যে চিঠি লিখেছেন, তাতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইমরান এ কথাও লেখেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত।
চিঠিতে তিনি বন্ধ থাকা সার্ক শীর্ষ সম্মেলন শুরু করার প্রস্তাবও দিয়েছেন। বলেছেন, এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদির পাকিস্তানে আসা হবে। পাশাপাশি বন্ধ আলোচনাও শুরু করা যাবে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় কোন আলোচনা হয় নি। এখন দেখার বিষয় এর ভবিষ্যৎ কি হয়?