গণতান্ত্রিক বাম জোটের নির্বাচন কমিশন ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা। লাঠিচার্জে আহত অর্ধশত। ঢাকা মেডিকের কলেজ হাসপাতালে প্রায় ১৫ জন।
বাম জোটের নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি সফল করতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে এগারোটার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে জোটের নেতা-কর্মীরা। তাদের ডাকা উক্ত মিছিল কারওয়ান বাজার এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের চুড়ান্ত বাধার সম্মুখীন হয়।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং সকল দলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে একটি নির্বাচন কালীন ঐক্যসহ মোট এগারো দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক বাম জোটের আজকের এই ঘেরাও কর্মসূচি ছিলো। উক্ত মিছিল সার্ক ফোয়রার সামনে পুলিশি বাধার কবলে পড়লে পুলিশ ও মিছিলকারীদের মধ্যে সংংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের লাঠিচার্জে সরাসরি আঘাতপ্রাপ্ত হন গণতান্ত্রিক বামজোটের অন্যতম সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণ সংহতি আন্দোনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মনিরুদ্দীন পাপ্পু । এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন এর সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি জিলানী শুভসহ অর্ধশত আহত হয় বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে গণতান্ত্রিক বাম জোটের মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হলে ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনের সামনে প্রথম পুলিশি বাধায় পড়ে, সেই বাধা উপেক্ষা করে তারা মিছিলি টি যথাক্রমে শাহবাগ এবং বাংলামোটর পার হয়ে কারওয়ান বাজারের সার্কফোয়ারার সামনে আসলে পুলিশ বেরিকেড দেয়। যার ফলে এই সংঘর্ষ বাধে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা প্রতিক্রিয়া স্বরূপ আগামীকাল শুক্রবার,২১শে সেপ্টেম্বর বিকাল চারটায় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে। উক্ত ঘটনায় পুলিশের কারোর হতাহত হবার কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি। এদিকে গণতান্ত্রিক বাম জোটের নেতাসহ ছাত্রসংগঠনের নেতা কর্মীরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্যমতে তাদের আন্দোলন ছিলো জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গণতান্ত্রিক লড়াই। এই রকম একটি আন্দোলনের সরকার পুলিশি হামলা চালিয়ে আবার প্রমাণ করলো যে সরকার যেকোন মূল্যে তাদের এই ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে মরিয়া এবং এই জন্য সরকার নিজেদের স্বৈরতান্ত্রিক এবং চরম অত্যাচারী রূপ জাতির সামনে উম্মোচন করতেও দ্বিধাবোধ করছে না।