জনগণ আশা করেছিল আলোচনা হবে। আশা করেছিল, সামনে নির্বাচনে যোগ দেবে সব রাজনৈতিক দল। আশা করেছিল, যুক্তফ্রন্টের পাঁচদফা নিরসন করবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সংকট। কিন্তু সে গুড়ে বালি। দিন না পেরুতেই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক ‘অসাংবিধানিক’ বলে উড়িয়ে দিলেন পাঁচ দফা।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার দাবিকে অপ্রাসঙ্গিক ও অসাংবিধানিক বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে নির্দলীয় সরকার গঠন, বিচারিক ক্ষমতায় দিয়ে সেনা মোতায়েন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ যেসব দাবি তারা তুলেছে তা অপ্রাসঙ্গিক, অবান্তর ও অসাংবিধানিক। সংসদ ভেঙে নির্দলীয় সরকার করার প্রয়োজন নেই।
আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি)এর কাউণ্সিল অধিবেশনে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি কার সঙ্গে যাবে, কিভাবে যাবে সেটা তো আমরা জানি না। আমরা পত্র-পত্রিকা, মিডিয়ায় জানতে পারছি যুক্তফ্রন্ট নেতারা বিএনপির প্রধান পার্টনার। এখানে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তারা কিভাবে কার সঙ্গে কি ঐক্য করবে, সেটা তো আমরা জানি না।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও প্রতিদ্বন্দ্বীর অভাব হবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নতুন নতুন জোট হলে স্বাগতম। নতুন নতুন জোট আসুক, নির্বাচন করুক। জনগণ যাকে চায়, সেই জিতবে। বিএনপি না এলেও এবার প্রতিদ্বন্দ্বীর অভাব নেই। এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদ তৈরির কোনো সুযোগ নেই।
জাতিসংঘের তত্বাবধানে নয়, দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই। শেখ হাসিনা সরকারই তত্ত্বাবধান করবে এবং নির্বাচন কমিশনই এ নির্বাচন পরিচালনা করবে। আর নির্বাচন সেনা মোতায়েন হবে কিনা, সেটা প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে।
বিএনপি মহাসচিবের যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাহস থাকলে জনগণের কাছে নালিশ করুন। বিদেশে গিয়ে নালিশ করে দেশকে কেন খাটো করছেন। জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণ, বাস্তবে দেখা গেল এমন কোনও আমন্ত্রণ নাই। কী রকম তারা প্রতারণা করে, রাজনীতিতে ছদ্মবেশী প্রতারণা পার্টির নাম বিএনপি।