একাদশ জাতীয় সংসদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান ক্রমাগত পরিস্কার হচ্ছে। এবার সংসদ ভেঙে সব দলের সঙ্গে আলোচনার করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও সেনা মোতায়েনসহ পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেছে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া।
আজ শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশ থেকে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা এই পাঁচ দফা ঘোষণা করেন। ঘোষণাপত্র পড়ে শোনান নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ড. কামাল হোসেন, বি. চৌধুরী, আসম রব, মাহমুদুর রহমান মান্না ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্য নেতারা।
জাতীয় ঐক্য পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করবে। এই দাবিগুলো হলো :
১. জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। ওই সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
২. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাক্, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
৩. কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রছাত্রীসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে এবং গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে হবে। এখন থেকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা যাবে না।
৪. নির্বাচনের এক মাস আগে থেকে নির্বাচনের পর ১০ দিন পর্যন্ত মোট ৪০ দিন প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে।
৫. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা ও পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর যুগোপযোগী সংশোধন করতে হবে।
এখন দেখার বিষয়, সরকার কতটুকু এই দফা মেনে নেয় বা এই দাবি নিয়ে তাদের সাথে কতটা আন্তরিকতার সাথে আলোচনায় বসে।