বিশ্বের সবচাইতে ধনী ব্যক্তিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি নাকি পৃথিবীর নিপীড়িত দরিদ্র মানুষের জন্য কিছুই করেন না। অভিযোগের জবাব কাজের মাধ্যমে দিলেন অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোস। মোটেই কঞ্জুস নন তিনি।
গৃহহীন পরিবার এবং অসহায় শিশুদের নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে তাদেরকে ২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা করবেন বেজোস। এসব কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য‘বেজোস ডে ওয়ান ফান্ড’ নামে একটি তহবিল ঘোষণা করেছেন তিনি। সেখান থেকে নিয়মিত এ ধরণের কার্যক্রম চালাবেন সম্প্রতি বিশ্বের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসা এই মার্কিন বিলিয়নিয়র ব্যবসায়ী।
বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় বেজোস জানিয়েছেন, গৃহহীন পরিবার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো এবংস্বল্প আয়ের পরিবারগুলোর শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি নতুন নেটওয়ার্ককে এ অর্থ প্রদান করা হবে। মোট অর্থ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ‘ডে ওয়ান ফ্যামিলিজ ফান্ড’ এবং ‘ডে ওয়ান একাডেমিজ ফান্ড’ কাজ করবে।
বেজোস জানান, ডে ওয়ান একাডেমিজ ফান্ড স্বল্প আয়ের পরিবারের শিশুদের জন্য পরিচালিত উন্নতমানের ও পূর্ণাঙ্গ অবৈতনিক প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি নতুন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে, এজন্য একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করে দেয়া হবে।
তবে বিল গেটস বা ওয়ারেন বাফেটদের মতো অন্যান্য বিলিয়নিয়রদের দানশীলতার কাছে বেজোসের এই ঘোষণা দেয়া ২ বিলিয়ন ডলার সামান্যই বটে। যেখানে ওয়ারেন বাফেট বলেন, বিলিয়নিয়র ব্যবসায়ীদের উচিত তাদের ব্যক্তিগত সম্পদের অর্ধেকই সামাজিক কাজে ব্যয় করা।
বিশ্বের সবচাইতে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রভাবশালী মিডিয়া ওয়াশিংটন পোস্টসহ বহু ব্যবসায়ের মালিক বেজোস অসহায় অভিবাসীদের সন্তানদের সহায়তায় নিযুক্ত রয়েছেন অনেক আগ থেকেই। এছাড়াও তাঁর অর্থায়নে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার গবেষণা হয়।
বেজোসের ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি অ্যামাজন এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে ১ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের কোম্পানি হিসেবে নাম লিখিয়েছে। এর কয়েক সপ্তাহ আগে প্রথম এবং একমাত্র কোম্পানি হিসেবে অ্যাপল এই গৌরব অর্জন করে।