আগের মতো সামরিক সক্ষমতা নেই ইসরায়েলের

আগের মতো সামরিক সক্ষমতা নেই ইসরায়েলের

ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতা যে চিরদিন থাকবে না তা সকলেই অনুমান করেছিল। এবার সেটাই নিশ্চিত হল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর জেনারেল আইজ্যাক ব্রিক সামরিক ও নিরাপত্তা সক্ষমতা বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, ইসরায়েলী সেনাবাহিনীর এখন আর আগের মতো সামরিক সক্ষমতা নেই। এখন চাইলেই যেকোনো সময় যুদ্ধে জড়াতে পারবে না তারা।

ইসরায়েলি দৈনিক ‘মায়ারিভ’-এর এক খবরে জানা যায়, প্রতিবেদনটি যুদ্ধমন্ত্রী এভিগডোর লিবারম্যান ও সেনাপ্রধান গাদি আইজেনকুত’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আইজ্যাক ব্রিক’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সেনা সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে নতুন যুদ্ধে জড়ানো এখন আর সম্ভব নয়। ইসরাইলি তরুণদের মধ্যে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগ্রহও কমে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনা সংখ্যা কমে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সামরিক ইউনিটের যুদ্ধের ক্ষমতাও আর আগের মতো নেই। এছাড়াও গত বছর ইসরায়েলি সৈন্যদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। যার কারণে তাদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার প্রবণতাও কমে যায়।

লেবাননের হিজবুল্লাহ মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহর এ সংক্রান্ত এক ভাষণের তিন সপ্তাহ পরই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে জনশক্তি সংকটের বিষয়ে এই জেনারেলের প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো। তিন সপ্তাহ আগে এক ভাষণে হাসান নাসরুল্লাহ বলেছিলেন, ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জনশক্তি সংকট। সেনাবাহিনীতে লোকজন আসতে চাচ্ছে না।

লেবানন ও সিরিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় ইসরায়েলি জেনারেলরা একের পর এক বৈঠক করছেন এবং বিভিন্ন গোপন প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরছেন। এখন দেখার বিষয়, ইসরায়েল এই সংকটের ফলে তাদের যুদ্ধবাজ মানসিকতা থেকে ফিরে আসে না নতুন কোন ছক কষে সামাল দেয় পরিস্থিতি।