গাজার বিপর্যয় নিয়ে জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

গাজার বিপর্যয় নিয়ে জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

ফিলিস্তিনের গাজার ওপর এক দশকের বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জ্বালানির অভাবে হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজা উপত্যকার বিপর্যয়কর পরিস্থিতির কারণে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আংটাডের উপপ্রধান ইসাবেলা ডুরান্ট বুধবার বলেছেন, গাজা উপত্যকা দিন দিন বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে উঠছে।

জাতিসংঘের এ সংস্থা তাদের বার্ষিক রিপোর্টে বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ২০১৭ সালে গড়পড়তা বেকারত্বের হার বেড়ে শতকরা ২৭ ভাগে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু গাজা উপত্যকায় বেকারত্বের হার রয়েছে শতকরা ৪৪ ভাগ। বেকারত্বের এই হার বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি।

আংটাড তাদের রিপোর্টে বলেছে, ইসরায়েল যে অবরোধ দিয়ে রেখেছে তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নারী ও শিশুরা। এছাড়া ৩০ বছরের ভেতরে যেসব ফিলিস্তিনি তরুণ রয়েছে তাদের শতকরা ৫০ ভাগের কোনো কাজ নেই।
আংটাড বলছে, ফিলিস্তিনিদের চলাচলের ওপর তেল আবিব বিধিনিষেধ আরোপ করার ফলে সেখানে মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

তবে জাতিসংঘের এই হুঁশিয়ারিকে রাজনীতি বিশ্লেষকেরা খুব একটা আমলে নিচ্ছে না। কেননা গাজায় ইসরায়েলি হামলার সময় বিশ্ব শান্তির সর্বোচ্চ এই সংস্থা নিরব ভূমিকা পালন করেছে।