বাংলাদেশের ধানের সাথে যুক্ত হলো নতুন দুটি জাত। বিআর-৮৮ এবং বিআর-৮৯। দীর্ঘ আঠারো বছর গবেষণা করে এই দুটি জাত উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা। এর আগে এই প্রতিষ্ঠান ১৯৯৪ সালে বিরি-২৮ ও বিরি-২৯ উদ্ভাবন করেছিল যা বাংলাদেশের বর্তমান কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের গবেষক ড.মো আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বোরো মৌসুমের জন্য উচ্চ-ফলনশীল ধান এটি।
এই দুটি ধানের জীবনকাল হবে বপন করা থেকে ধান কাটা পর্যন্ত ১৪৩ দিন। এর ফলন প্রতি হেক্টরে সাত টন হবে। ধানটি প্রথমে গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে। এরপর বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসোর্স কাউন্সিলের টেকনিক্যাল কমিটিতে এই ধানের সফলতার বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে। এখন এটা ন্যাশনাল সীড বোর্ডে চূড়ান্ত পর্যায়ে অনুমোদন হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
ড. আলমগীর হোসেন আরও জানান, “২৮ এর মত গ্রোথ হবে কিন্তু ফলন বেশি হবে। জাতীয়ভাবে ১০টা স্থানে তারা পরীক্ষামূলক ফলন করেছেন। সেখানে প্রতি হেক্টরে ৬০০ কেজি ধানের ফলন বেশি হয়েছে”। তবে তারা আশা করছেন কৃষকরা চাষ করা শুরু করলে পরবর্তীতে এই ফলন আরো বাড়বে।
এর আরো বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ধানটা হবে চিকন, সুস্বাদু, ২৮শের মত জীবনকাল কিন্তু ফলন বেশি। আগামী দুই এক বছরের মধ্যেই কিছু কিছু কৃষকের কাছে ধানটা পৌছানো সম্ভব হবে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।
এখন দেখার বিষয়, ধানের নতুন এই জাত আমাদের কৃষিতে কতটুকু অবদান রাখতে পারে। যখন বৈশ্বিক উষ্ণতার সাথে কঠিন হতে থাকা কৃষিখাতে নতুন সহনশীল জাত উদ্ভাবনে মনোযোগ দিচ্ছে বিশ্ব, তখন ধানের এই নতুন জাত আমাদের আশাবাদী করতেই পারে।