দেশে রাসায়নিক হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতোপূর্বে বাংলাদেশে রাসায়নিক হামলার নজির না থাকলেও সতর্কতা জারি করেছে মন্ত্রণালয়টি। হামলা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের সব ক’টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোকে বার্তা দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ও লাইন ডিরেক্টর হসপিটাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট কর্মসূচির দায়িত্বরত অধ্যাপক ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, সারা দেশেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল ও বিশেষায়িত স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে সতর্কীকরণ বার্তা পাঠানো হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে এই চিঠি ইস্যু করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জেলা থেকে রাজধানী পর্যায়ের সকল সরকারি হাসপাতালে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই বিষয়ে হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
হামলার আশঙ্কার বিষয়টি স্বীকার করে পুলিশের ডিআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) রুহুল আমিন বলেন, আমরা আমাদের ইউনিটগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে রেখেছি। যেখানে যে ধরণের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দরকার তা আমরা নেয়ার জন্য প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, রাসায়নিক হামলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার বিষয়টি তুলে ধরে গত ২৬ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে হাসপাতালগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক-কাম-সিভিল সার্জনকে পাঁচটি বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
বিষয়গুলো হলো- সম্ভাব্য রাসায়নিক হামলায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি হাসপাতালে একটি বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা টিম গঠন করা। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা-সরঞ্জাম-ওষুধ সীমিত আকারে মজুত রাখা। অ্যাম্বুলেন্স সচল রাখাসহ ওটি কমপ্লেক্সে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা (জেনারেটর) সচল রাখা। বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা টিমের সকল সদস্যের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।