ইতিহাসে প্রথম বারের মতো কারাগারে বসল আদালত। ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারের ভেতরে আয়োজিত হল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার কার্যক্রম ও শুনানি। আর তাতে বিচার ব্যবস্থার উপর ক্ষুব্ধ হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আদালতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই আদালতে ন্যায়বিচার হতে পারে না।
আজ বুধবার খালেদা জিয়াসহ এ মামলার তিন আসাদিকে এজলাসে হাজির করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অনুপস্থিতিতে বেলা সোয়া ১২টার দিকে নতুন এই এজলাসে বিচার কার্যক্রম শুরু করে আদালত। এ সময় খালেদা জিয়া নিজের অসুস্থতার কথা তুলে ধরে বিচারককে বলেন, আপনার যত দিন ইচ্ছা সাজা দিন, আমি এ অবস্থায় আসতে পারব না। এই আদালতে ন্যায়বিচারও হবে না।
আধা ঘন্টারও কম সময় আদালতের কার্যক্রম চলার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা না থাকায় আদালত মুলতবি করতে হয়। আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ ঠিক করে দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মোঃ আখতারুজ্জামান।
উল্লেখ, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টি দুর্নীতি মামলার শুনানি এতদিন চলছিল কারাগারের কাছে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কারা অধিদপ্তরের মাঠে বিশেষ এজলাসে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে আদালত ঘোষণা করে এই মামলার শুনানির নির্দেশ দেয়।
এই কারাগারের অন্য ভবনের দোতলার একটি কক্ষে গত সাত মাস ধরে বন্দি রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন একই বিচারক।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় যতটা না আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা উদ্দেশ্যে তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক আর যে কারণে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি করে আসছে দলটির নেতাকর্মীরা। কিন্তু সরকার তাদের দাবি অনুযায়ী হাসপাতালে নেয়নি। অন্যদিকে এক মামলার জামিন হলেতো অন্য মামলার হয় না। যার কারণে কারামুক্তিও হয়ে ওঠে অধরা। এরকম অবস্থায় কারাগারে আদালত স্থানান্তর বিচার বিভাগ আরও বেশি প্রশ্নবিদ্ধ করছে।