ইসলামকে ‘মানসিক রোগ’ আকারে দেখছে চীন

ইসলামকে ‘মানসিক রোগ’ আকারে দেখছে চীন

ইসলাম ধর্মের অনুসারীদেরকে মানসিক রোগে আক্রান্ত ভাবছে চীন সরকার। সম্প্রতি দেশটির জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর অঞ্চলের নাগরিকদেরকে আলাদা ক্যাম্প স্খাপন করে সেখানে বন্দী জীবনে বাধ্য করা হয়েছে।

জিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলিমদের চিন্তা চেতনায় যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও ধর্মীয় সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড বাসা বাঁধতে না পারে সেজন্য এই নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের আয়োজন করা হয়েছে বলে চীনা সরকার কর্তৃপক্ষ বলছে। চীন আশংকা করে, জিনজিয়াংয়ে সেখানকার মুসলিমরা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়াস নিতে পারে। পূর্ব তুর্কমেনিস্তান নামে এমন আলাদা রাষ্ট্র গঠনের প্রয়াসের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের।

জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাতে নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে, গত বছর থেকে শুরু হওয়া বিশেষ ওই বন্দি এলাকায় দশলাখেরও বেশি লোককে ঢোকানো হয়েছে। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকাটি বলেছে, বন্দিদশায় প্রেরণ করা নাগরিকদের প্রায় সবাই উইঘুর এবং তারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী।

গত মাসে জাতিসংঘের জাতিগত নির্মূল ও বৈষম্য দূরীকরণ কমিটির সভায় চীনা কর্মকর্তারা এ বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন। কমিটির এক সদস্য জানান, গত এক বছরে একশো জনেরও বেশি উইঘুর তরুণকে গুম হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই বিদেশ-ফেরৎ সুন্নি মুসলমান।

জাতিসংঘে নিয়োজিত চীনা দূত ইউ জিয়ানহোয়া অবশ্য এসব অভিযোগকে এড়িয়ে যান। তিনি জানান, গত পাঁচ বছরে চীন দুই কোটি দরিদ্র নাগরিককে দারিদ্রমুক্ত জীবন উপহার দিতে পেরেছে।

প্রকারান্তরে এমন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সুস্থ মানুষগুলোকে মানসিক অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে দেশটির সরকার। ধর্ম ও বিশ্বরাজনীতিতে বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক সিগাল স্যামুয়েল বলেছেন, এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চীন সরকার ইসলাম ধর্মকে মানসিক রোগ আকারে দেখছে।