প্রতিরক্ষা ক্রয়ে কারোর অনুমতির প্রয়োজন নেই : আমেরিকাকে এরদোগান

প্রতিরক্ষা ক্রয়ে কারোর অনুমতির প্রয়োজন নেই : আমেরিকাকে এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের পদক্ষেপগুলো আমেরিকা-বিরোধীদের ভালো লাগতেই পারে। কেননা এরদোগান যে এখন পুরোপুরি আমেরিকার শত্রুতে পরিণত হয়েছেন। একজন মার্কিন ধর্মযাজকের বিচারকে কেন্দ্র করে ‘হিংস্র নেকড়ে’র মতো হয়ে ওঠা আমেরিকাকে এখন আর তোয়াক্কা করছেন না মুসলিম বিশ্বের এই নেতা।

গতকাল রবিবার কিরিগিজিস্তানে ব্যবসায়ীদের এক ফোরামে বক্তৃতাকালে এরদোগান তার এই পদক্ষেপগুলো জানান। তিনি বলেন, “আমেরিকা হিংস্র নেকড়ের মতো আচরণ করছে; কেউ তাকে বিশ্বাস করবেন না”। তিনি তুরস্কের চলমান সংকট নিরসনে বদ্ধ পরিকর এবং সেই সাথে আমেরিকাকেও এক হাত দেখে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

এরদোগান তার অন্যতম বাণিজ্যিক বন্ধু রাশিয়া ও অন্যন্য দেশের সাথে ডলার বহির্ভূত অন্য কোন মুদ্রা দিয়ে লেনদেনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইতোমধ্যে তিনি দ্বিপক্ষীয় আলোচনাও শুরু করেছেন। তিনি বলেন, “ডলারের ব্যবহার আমাদের ক্ষতি করছে। তবে আমরা আত্মসমর্পণ করব না। আমরা বিজয়ী হবো।”

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ক সম্পর্কের আরেক ইস্যু- ‘রাশিয়ার কাছ থেকে প্রতিরক্ষা ক্রয়’ নিয়েও নিজের অবস্থান নিশ্চিত করেন এরদোগান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে একরকম হুমকি দিয়েই বলেন, “আমরা এস-৪০০ কেনার বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছি। এর ফলে কেউ খেপেছে। তবে এজন্য আমাদের কারোর অনুমতির প্রয়োজন নেই।”

গত মঙ্গলবারই মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস তুরস্ককে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, তুরস্ক রাশিয়ার বিমান ও ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ন্যাটো-রাষ্ট্রে নিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যবস্থাকে আমরা ন্যাটোর সঙ্গে যুক্ত করতে পারি না। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। আর তার প্রেক্ষিতে এরদোগানের সিদ্ধান্তে অটল থাকাটা প্রমান করে দেয়- তুরস্ক এখন আর আমেরিকাকে ভয় পায় না। অর্থনৈতিক এই সংকট তুরস্কের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের কিছুই করতে পারবেনা।

এখন দেখার বিষয়, বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো তুরস্কের প্রতি কতটুকু সমর্থন দেয়। এর এরদোগানইবা কতটুকু মোকাবেলা করতে পারে এই সংকট।

উল্লেখ্য, কিরিগিজিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যে এক বিলিয়ন স্থানীয় মুদ্রার লেনদেন রয়েছে। যা তুরস্কের এই অর্থনৈতিক সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।