আজ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সোমবার সকাল ১১টায় ‘কালো দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উক্ত কালো দিবসকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন।
আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, যারা দেশের ভাল চায় না, দুরভিসন্ধিতে লিপ্ত, তারা সেনাবাহিনী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এই দুটি প্রতিষ্ঠানকে মুখোমুখি করার ষড়যন্ত্র করেছিল। খেলার মাঠে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়। দিনে দিনে এটা পরিস্কার হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্বতন্ত্র ঐতিহ্য আছে যা এটা তার দীর্ঘ পথপরিক্রমায় অর্জন করেছে। তা হল গণতন্ত্রবোধ। এর প্রকাশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৭ সালে দেখিয়েছে, যেমন দেখিয়েছিল ১৯৭১ সালে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, (২৩ আগস্ট) মানুষের অধিকার আদায় ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দিবস। এ দিবসের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তৎকালীন অনেক শিক্ষক টিভিতে সেনা সরকারের পক্ষে কথা বলেছেন। সেনা সরকার চেয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দাবিয়ে রাখতে। কিন্তু এর যে ইতিহাস আছে তা হলো বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কে শেখানো কীভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতিরাষ্ট্রের জন্ম দিতে পারে, আবার জাতির প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতিকে দিক-নির্দেশনা দিতে। এভাবেই দুরভিসন্ধিকারীদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে গেছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিবলী রুবায়াতুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২০-২৩ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী তথা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের উপর সংঘটিত অমানবিক, বেদনার্ত ও নিন্দনীয় ঘটনার স্মরণে প্রতিবছর ২৩ আগস্ট এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও অফিসসমূহ ঈদ-উল-আযহা’র বন্ধ থাকায় ৩ সেপ্টেম্বর কালো দিবসের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
‘কালো দিবস’ উপলক্ষে আজ সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও অফিসসমূহ স্থগিত ছিলো।