টটেনহাম হটস্পার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পাওয়ার হাউজ, শিরোপার অন্যতম দাবিদার। সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ ক্লাবটি পূরণ করবে তাদের ১৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৮৮২ সালে জনা এগারো স্কুল বালকের হাত ধরে যে পথচলার শুরু হয়েছিল তারপর কালের পরিক্রমায় গত হয়েছে প্রায় সার্ধ্বশতবর্ষ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জবান পাঠকদের জন্য থাকছে তাদের সম্পর্কে জানা অজানা নানান তথ্য। শুরু করব নামের বিবর্তন দিয়ে…
২০১৫-১৬ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রূপকথার জন্ম দেওয়া লিস্টার সিটির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই? এত সহজে তাদের ভুলার কথা নয়। ক্লদিও রানিয়েরির দল একেবারে শূন্য থেকে শৃঙ্গে উঠে যায় সেবার। চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে উঠে আসা একটা দলের সরাসরি প্রিমিয়ার লীগের টাইটেল বাগিয়ে নেয়া চাট্টিখানি ব্যাপার না। সেই মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগটাই ছিল চমকে ভরা। লিস্টার যদি হয় চমকের সেরা অধ্যায়, ‘টটেনহাম হটস্পার’ তাহলে আরেক পাতার শিরোনাম। সেবার লীগে দ্বিতীয় হওয়া দলটি যে স্পার্স।
টটেনহাম হটস্পার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম শক্তিশালী দল। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া লিগ অন্যান্য লিগের মতো একপেশে নয়। এখানে অনেকগুলি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। টটেনহাম যার অন্যতম। লন্ডনের এই ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাবের সাফল্যের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। যুগে যুগে খেলে গেছেন অসংখ্য তারকা ফুটবলার। স্কুল বালকদের গড়া শখের ক্লাব আজ বহুদূর পথ পাড়ি দিয়েছে, ‘হটস্পার ফুটবল ক্লাব’ নামে নিছক অবকাশ যাপনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে কেউ ভেবেছিল অতটা?
সেইন্ট জোন্স মিডলক্লাস স্কুল এবং টটেনহাম গ্রামার স্কুলের ১৩/১৪ বছর বয়সী কয়েকজন বালকের ভাবনায় উঁকি দেয় ফুটবল দল গড়ার চিন্তা। ওরা সবাই ছিল হটস্পার ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য। অবসর সময়ে বিশেষ করে শীতকালীন অবকাশে ফুটবল খেলার ধারণাটা মাথায় আসে রবার্ট বাকল আর তার দুই বন্ধুর। বন্ধুদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে বাকীরাও রাজি হয়ে যায়। তারপর যেই ভাবা সেই কাজ।
১৮৮২ সালে লন্ডনের টটেনহাম শহরে এভাবেই জনা এগারো স্কুল বালকের হাত ধরে জন্ম নেয় হটস্পার এফসি। হটস্পার নামটা আসে চতুর্দশ শতাব্দীর ব্রিটিশ যোদ্ধা ‘স্যার হ্যারি হটস্পার’ এর নাম থেকে, যিনি ছিলেন এই শহরেরই বাসিন্দা। লন্ডনেই সেইসময় প্রতিষ্ঠিত একটি ক্লাবের নাম ছিল ‘লন্ডন হটস্পার’। দুইদলের মধ্যে কনফিউশন দূর করতেই ১৮৮৪ সালে নামের আগে যুক্ত হয় শহরের নাম, হয়ে যায় টটেনহাম হটস্পার এফসি।