সময়ের বিবেচনায় সেরা দল নিয়েই এশিয়া কাপে যাচ্ছে টাইগাররা

সময়ের বিবেচনায় সেরা দল নিয়েই এশিয়া কাপে যাচ্ছে টাইগাররা

আসন্ন এশিয়া কাপকে সামনে রেখে পনেরো সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। সর্বশেষ উইন্ডিজ সফর থেকে বাদ পড়েছেন সাব্বির, এনামুল এবং রাহী।

বাংলাদেশ স্কোয়াড : মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, আরিফুল হক, মাহমুদুল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, নাজমুল হোসেন, মেহেদী মিরাজ, নাজমুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার।

ওপেনিংয়ে তামিমের সাথে কে?

এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত দলে তামিম ইকবালের সাথে ওপেন করবেন কে সেটি একটি প্রশ্ন। দল দেখে যা আঁচ করা যায় তাতে সম্ভাব্য নামটি হতে পারে লিটন। সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও এখনো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। সেটি খুঁব একটা আমলে নেবার প্রয়োজন এই মুহুর্তে নেই। বহুদিন ধরেই ওপেনিং একটি বড় সমস্যা বাংলাদেশ দলের জন্য। লিটন একটি ভাল বিকল্প হবার যোগ্যতা রাখেন। সৌম্য, এনামুল, ইমরুলদের না থাকাটা তার জন্য একটি ভাল সুযোগ। লিটন যদি সাব্বিরের জায়গা পূরণ করেন সে ক্ষেত্রে মিঠুন হতে পারেন তামিমের সঙ্গী। বেশ কিছুদিন ধরেই ঘরোয়া আসরে ভাল করা মিঠুন একটি সুযোগের দাবি রাখেন।

সাব্বির বিহীন ব্যাটিং লাইনআপ কেমন হতে পারে?

সাব্বির দলে না থাকায় ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন যে আসবে এটা নিশ্চিত। সর্বশেষ ম্যাচগুলো তিনি খেলেছেন ছয় নাম্বারে। সাব্বির না থাকায় সৈকতকে প্রমোশন দিয়ে ছয়ে খেলানো যেতে পারে। স্লগ করার চেয়ে যেহেতু তিনি ধীরে শুরু করতেই অভ্যস্ত তাই সাতের বদলে ছয় নাম্বার জায়গাটি তার জন্য ভালো হতে পারে। সেক্ষেত্রে স্লগ করার জন্য ভালো পছন্দ হতে পারেন লিটন অথবা আরিফুল। লিটন যদি ওপেনিং না করেন তাহলে তার স্ট্রোক খেলার সামর্থ্য বিবেচনায় সাত নাম্বার জায়গাটি পারফেক্ট। আবার লিটন যদি ওপেনিং করেন তাহলে সাতের জন্য ভালো পছন্দ হতে পারেন আরিফুল। ব্যাটিং অর্ডারের বাকি ক্রমটিতে বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে পরিবর্তন না আনাই উত্তম।

বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে স্পিনারদের

বাংলাদেশ স্পিন নির্ভর দল বলে একটি হাইপ থাকলেও বাস্তবতা হচ্ছে ওয়ান ডে তে বাংলাদেশের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করে পেসারদের ওপর। কন্ডিশন বিবেচনায় এশিয়া কাপে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে স্পিনারদের। বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে রান আটকানোর পাশাপাশি উইকেট তুলে নেয়াটা হবে বড় চ্যালেঞ্জ। উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা যেমন প্রথাগত ভাবেই স্পিনে দুর্বল ছিলেন, এখানে বিষয়টি ভিন্ন। এশিয়া কাপের দলগুলো স্পিন খেলে অভ্যস্ত। এখানে, সব মিলিয়েই স্পিনারদের সামর্থ্যর চেয়েও বেশি দিতে হবে।

পেসারদের লড়াইটা কন্ডিশনের সাথেও

দুবাইয়ের কন্ডিশন পেসারদের বেশ কঠিন একটি পরীক্ষাই নিবে। প্রচন্ড গরমের সাথে ফ্ল্যাট উইকেট পেসারদের কাজটা করে তুলবে কঠিন। আর এ কন্ডিশনে টানা স্পেল করার সামর্থ্য বাংলাদেশের পেসারদের রয়েছে কি না সেটাও বড় প্রশ্ন। এখানে তাই শুধু প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানই না লড়াইটা হবে কন্ডিশনের সাথেও। বিরুপ কন্ডিশনে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের সাথে লড়াইয়ে জন্য মানষিক শক্তিরও প্রয়োজন। সেটি আমাদের পেসারদের কতটা রয়েছে এশিয়া কাপে তা অনেকটাই বোঝা যাবে।

সময়ের বিবেচনায় সেরা দল

সম্ভবত বহুদিন পর বাংলাদেশের নির্বাচকরা এমন একটি দল ঘোষণা করলেন যেটি বিতর্কের উর্ধ্বে। যারা দলে ডাক পেয়েছেন তাদের বর্তমান ফর্ম এবং যোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। এখন নির্বাচকদের আস্থার প্রমাণ দেয়ার পালা খেলোয়াড়দের। ফরম্যাটটি ওয়ান ডে বলে আশাবাদী হতে পারে বাংলাদেশ। মাশরাফির নেতৃত্বে এ দলটি টানা কয়েক বছর ধরেই ভাল খেলছে। লক্ষ্য হিসাবে মাশরাফি যেটি সেট করেছেন; চ্যাম্পিয়ন হওয়া সেটি খুবই সম্ভব যদি বাংলাদেশ স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারে।