বাংলাদেশে দুর্নীতিতে শীর্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা

বাংলাদেশে দুর্নীতিতে শীর্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা

বাংলাদেশ ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে সেবাখাতে। যার পরিমান ৬৬.৫ শতাংশ।সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত সেবা খাত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাসপোর্ট অফিস, তৃতীয় বিআরটিএ এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিচারিক ব্যবস্থা। দেশের সেবাখাতের দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিচালিত জাতীয় খানা জরিপ ২০১৭- এর ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি জানান, “দেশজুড়ে একটি খানা জরিপ পরিচালনা করে টিআইবি। এতে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের ভিত্তিতে জনগণের মতামত জানতে চাওয়া হয়। যেখানে ২০১৭ সালে সার্বিকভাবে ৬৬.৫ শতাংশ মানুষ সেবাখাতগুলোতে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৭২.৫ শতাংশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, পাসপোর্ট অফিস ৬৭.৩ শতাংশ এবং বিআরটিএ-তে ৬৫.৪ শতাংশ দুর্নীতি হয়েছে।”

জরিপে বলা হয়, “বাংলাদেশে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রাক্কলিত ঘুষের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, “২০১৭ সালে টিআইবি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার প্রশাসন, ভূমি সেবা, কৃষি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, বিচারিক সেবা, বিদ্যুৎ, ব্যাকিং, বিআটিএ, কর ও শুল্ক, এনজিও, পাসপোর্ট, বীমা, গ্যাস সেবা খাতে জরিপ করে টিআইবি। এর মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষই বেশি দুর্নীতির শিকার ও ঘুষ দিতে বাধ্য হয়। এর পেছনে একটা বড় কারণ হলো, ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না এমন একটা পরিবেশ ও ধারণা।”

‘সেবা খাতে দুর্নীতি, জাতীয় খানা জরিপ ২০১৭’ শীর্ষ ওই গবেষণা জরিপে প্রধানত ১৫টি সেবা খাতে সেবা গ্রহণের দুর্নীতির শিকার হওয়ার বিষয় নিয়ে জরিপ চালানো হয়। সেবা খাতে দুর্নীতি হ্রাসে ১২ দফা সুপারিশও পেশ করে টিআইবি।

অনুষ্ঠানে টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, উপ-নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে সরকার যতই বলুক দুর্নীতি কমছে কিন্তু জরিপে ঠিকই দেখা যাচ্ছে, দুর্নীতির দৌরাত্ম। আবার অনেক হিসেব হয়তো জরিপেও উঠে আসছে না। শুধু নাগরিকরাই এর ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।