সব মিলিয়ে টেনিসের উন্মুক্ত যুগে গ্র্যান্ডস্লামের দুইশ তিনতম আসর। আজ নিউইয়র্কের বিলি কিং ন্যাশনাল টেনিস স্টেডিয়ামে বছরের শেষ গ্র্যান্ডস্লাম ইউএস ওপেন পূর্ণ করবে সুবর্ণজয়ন্তী। কে বা কারা রাঙাবেন পঞ্চাশপূর্তি আসর? কার হাতে উঠবে বছরের শেষ শ্রেষ্ঠত্ব? নাদাল পারবেন শিরোপা ধরে রাখতে, নাকি জোকোভিচ জিতবেন তৃতীয় টাইটেল? ফেদেরার বরাবর শিরোপাপিয়াসী, উন্মুক্ত যুগে সর্বোচ্চ পাঁচ ট্রফি উচিয়েছেন, তাও টানা পাঁচবার। ছেড়ে কথা বলবেন কেন তিনিও!
গতবছর সেপ্টেম্বরে প্রথম কন্যার মা হওয়ার পর প্রথমবার ইউএস ওপেনে লড়ছেন মার্কিন কৃষ্ণকলি সেরেনা উইলিয়ামস। এবার তাই নারী র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে সবার চেয়ে। বছরের শেষ টুর্নামেন্টে কৃষ্ণকলি পারবেন কি প্রত্যাবর্তন করতে তা সময়ই বলবে। সেরেনার কাঁটা হতে দাঁড়িয়ে আছেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন স্লোয়েন স্টেফান্স, নাম্বার ওয়ান সিমোন হালেপ, রাশান বিউটি মারিয়া শারাপোভারা।
মাঠের বাইরে তারকাদের সৌহার্দ্য কর্পূরের মতো উবে যাবে টুর্নামেন্ট শুরুর প্রাক্কালেই। সার্ভিস, ব্রেক থ্রো, পয়েন্ট, ব্যাকহ্যান্ড ফোরহ্যান্ডের বুলেট শটে আজ থেকে সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ পর্যন্ত মাতিয়ে রাখবেন তাবৎ টেনিসপ্রেমীকে। শরীরের নোনতা ঘাম জানান দেবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা, কারো কারো পরিশ্রমী জয়ের, কারো চোয়ালবদ্ধ লড়াইয়ের পরও হেরে যাওয়া দুঃখবিলাসের। ইউএস ওপেন ২০১৮-এর কিঞ্চিৎ একনজরে দেখা নেয়া যাক…
নিউইয়র্কের বিলি কিং ন্যাশনাল টেনিস স্টেডিয়ামে ২৭ অাগস্ট- ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এবারের আসর। টুর্নামেন্টের ১৩৮তম আসর এটি। শুধু উন্মুক্ত যুগের হিসাব ধরলে এ বছর বসছে ইউএস ওপেনের ৫০তম আসর। সর্বশেষ আসরের বিভিন্ন ক্যাটাগরির চ্যাম্পিয়ন পুরুষ একক : রাফায়েল নাদাল নারী একক : স্লোয়োন স্টেফান্স পুরুষ দ্বৈত : হোরিয়া তিকাও, জিন রজার্স নারী দ্বৈত : মার্টিনা হিঙ্গিস, লাতিশা চ্যান মিশ্র দ্বৈত : মার্টিনা হিঙ্গিস (নারী) ও জিমি মুর (পুরুষ) প্রাইজমানি পাঁচ কোটি ত্রিশ লাখ ইউএস ডলার। এর মধ্যে উভয় এককের বিজয়ী পাবেন ৩৮ লাখ, ফাইনালিস্ট সাড়ে ১৮ লাখ, সেমিফাইনালিস্টরা ৯ লাখ ২৫ হাজার ডলার। দ্বৈতে বিজয়ীরা পাবেন ৭ লাখ, রানার্সআপ ৩ লাখ ৫০ হাজার এবং সেরা চারে থাকাদের পকেটে যাবে ১ লাখ ৬৬ হাজার ইউএস ডলার। আসা যাক মিক্স ডাবলসে। তাদের প্রাইজমানি যথাক্রমে ১ লাখ ৫৫ হাজার, ৭০ হাজার ও ৩০ হাজার ডলার।
শূন্য থেকে আসমানে পাখা মেলার রানওয়েতে প্রস্তুত সবাই। সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ রাতে ঝলমলে আলোর রোশনাইয়ে উজ্জ্বল মুখটা নতুন কারো হবে, নাকি পুরনো যোদ্ধাদের কারো মুকুটে যোগ হবে আরেকটি পালক? উত্তরের জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে হবে। তবে ওই প্রতীক্ষা অধৈর্যের কারণ হওয়ার কথা নয়। যুযুধান লড়াইয়ের রোমাঞ্চ পাঠে সময় বরং কোনদিক দিয়ে ফুরিয়ে যাবে, দেখবেন টেরই পাওয়া হবে না।