সপ্তাহ জুড়ে সড়কে লাশের সারি

সপ্তাহ জুড়ে সড়কে লাশের সারি

ঈদের ছুটির কারণে রাজধানীর বাইরে যাওয়া ও আসা পূর্ণোদ্যমে চলতে থাকে এক সপ্তাহজুড়ে। ব্যস্ত থাকে মহাসড়ক। এরই মধ্যে ঠিক কতগুলো প্রাণ ঝরে যায়। ঈদের আনন্দে সে খবরটাও সব সময় রাখা হয়ে ওঠেনা।

গত এক সপ্তাহ ধরে, দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটা দুর্ঘটনার প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সারা দেশে এই সাতদিনে ৫২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এবং পৃথক এই দুর্ঘটনাগুলোতে মোট ১০৯ জন নিহত হয়েছে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজপথে নেই শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্র তার নিজস্ব পদ্ধতিতে আন্দোলন দমনের পর সড়কের গুরু দায়িত্ব নিয়েছে নিজেদের কাঁধে। কিন্তু ফল হয়েছে কতটুকু। পুলিশও সরকারের সুরে সুর মিলিয়ে অসময়ে ট্রাফিক সপ্তাহ ঘোষণা করে হজম ক্ষমতার চেয়ে বেশি মামলা দিয়েছে সপ্তাহ জুড়ে। ‘র‌্যাকার’র পরিবর্তে ‘ডাম্পিং’এ দেয়ার হুমকিতো ছিলোই। এত কিছুর পরও সড়ক নিয়ন্ত্রণে কোন উন্নতি হয়নি। লাশের সংখ্যা ঠিকই গণনায় এসেছে।

তবে অন্যবারের চেয়ে এবার দুর্ঘটনা কিছুটা আলাদা।  এবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছোট আকারের যানবাহনগুলোই দুর্ঘটনায় বেশি জড়িয়েছে। ৩৩টি দুর্ঘটনায় ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে যারা এই ছোট যানবাহনের যাত্রী বা চালক। এটির কোন দুর্ঘটনার জন্য এরাই দায়ি আবার কোনটার ক্ষেত্রে এগুলো দুর্ঘটনার শিকার।

হাইওয়ে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মহাসড়কে চলাচল উপযোগী গাড়ি মহাসড়কে চলছে না। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাহেন্দ্র, টমটম (ইলেকট্রিক অটোরিকশা), নছিমন এ রকম নানা ধরনের তিন চাকার বাহন চলছে। মহাসড়কে পূর্ণ গতিতে চলমান একটি বড় বাস বা ট্রাকের সামান্য কোনাও যদি থ্রি-হুইলারের সঙ্গে কোনোভাবে লেগে যায়, তাহলেই হালকা এই যানগুলো দুমড়েমুচড়ে ধ্বংস হয়ে যায়।

শনিবার ২৫ আগস্ট নাটোরের লালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হলে হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে। আজ রবিবার মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযানে নেমেছে তারা। বেলা ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রায় ১০টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, পাঁচটি অটোরিকশা ভ্যান ও পাঁচটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটক করে পুকুরে ফেলেছে তারা। এটি কখনই দীর্ঘমেয়াদি এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।