গরুর মাংস খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও সাবধানতা

গরুর মাংস খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও সাবধানতা

দোরগোড়ায় কুরবানীর ঈদ। তার মানে খাদ্যাভাসের উপর দিয়ে একটা ছোটোখাটো ঝড় যাবে। এই ঈদে সবাই কম বেশি গরুর মাংস দিয়ে তাদের আহার করবেন। প্রচুর কোলেস্টেরল উৎপাদন করায় গরুর মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেরই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অনেকে আবার ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনা করে খেতে চান না। অথচ পরিমিত পরিমাণে সঠিকভাবে গরুর মাংস খেলে যে পরিমান পুষ্টি পাওয়া সম্ভব তা অন্য কোন কিছু থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।

গরুর মাংসে পুষ্টি উপাদান বেশি থাকার দরুণ অতিরিক্ত খেলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাবে এই খাদ্যের মধ্যে মজুদ থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের বিভিন্ন উপকারে আসে। গরুর মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, জিংক, ফসফরাস ও আয়রন থাকে। প্রোটিন মাংসপেশীকে শক্তিশালী ও মজবুত করতে সাহায্য করে। জিংক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফসফরাস মজবুত হাড় ও দাঁতের জন্য জরুরি। আয়রন রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর করতে এবং দেহে রক্তসরাবরাহ বাড়াতে সহযোগিতা করে। এছাড়া গরুর মাংসে থাকা বি১২, বি৬ এবং বিরোফ্রাবিন শরীরে শক্তি সরাবরাহ করে।

অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে রক্তে চর্বির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে গরুর মাংসের ঝোলে প্রচুর সম্পৃক্ত চর্বি পাওয়া যায়। যা রক্তনালীতে জমে এথেরোসক্লেরসিস ঘটাতে পারে। এটি হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটাতে সক্ষম। গরুর মাংসের অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। এর প্রোটিন কখনো কখনো কিডনি ঝুঁকি বাড়ায়।

এতকিছুর পরও দৈনিক খাদ্য তালিকায় গরুর মাংস রাখা সম্ভব যদি আপনি নিজেকে সংবরণ করতে পারেন। দৈনিক ৮৫ গ্রাম পরিমাণ গরুর মাংস খেলে ক্ষতির দিকটি উন্মোচিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এছাড়া গরুর শরীরের চর্বিযুক্ত অংশের মাংস পরিহার করতে পারেন। এবং অবশ্যই মাংসে দৃশ্যমান চর্বি কেটে ফেলুন।