ভারত থেকে একমাত্র সম্মানিত অতিথি হিসেবে নয়া পাক প্রধান ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হয়েছিলেন নভোজত সিং সিধু। শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজ দেশে বিতর্কর মুখে পড়েছেন ভারতের এই সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ।
গতকাল এডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই সফর নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এই সফল ছিল ঐতিহাসিক। এটা ছিল তার জন্য খুবই সম্মানের। ৩৫ বছরের বন্ধু যখন একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন, তাতে অংশগ্রহণের সৌভাগ্যকে তিনি বড় সম্মান আকারেই দেখছেন।
এদিকে সিধু এমন সময় এই সফরে গিয়েছেন যথন ভারতের ইতিহাসের এক বড় চরিত্র সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী মৃত্যুবরণ করেছেন। গোটা ভারতে চলেছে শোক। আর সিধু আছেন পাকিস্তানে। এই সফরকে তাই পাকিস্তান বিদ্বেষী মিডিয়া ও ভারতীয় উগ্র রাজনৈতিক দল স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন। শুরু হয়েছে বিতর্ক।
তবে সব বিতর্ক পাশকাটিয়ে সিধু এই সফর নিয়ে বেশ আপ্লুত। সাংবাদিক যখন প্রশ্ন করছিলেন, আপনি কি ইমরান খানকে নার্ভাস হতে দেখেছেন?
সিধুর সরাসরি উত্তর, নাহ, মোটেই না। ইমারান খুবই আত্মবিশ্বাসী। আমি বরাবরের মতো এবারও তাকে বেশ আত্মবিশ্বাসীই দেখেছি। এতো বড় দেশের ক্যাপ্টেন হিসেবে তিনি মোটেও নার্ভাস নন। আসলে এটা ইমরানের স্বভাবেই নাই। শপথ অনুষ্ঠানেও ইমরান ছিলেন আত্মবিশ্বাসী।
শপশ শেষে ইমরান খান বন্ধু সিধুর দিকে এগিয়ে আসেন। এবং পরম মমতায় তাকে জড়িয়ে ধরেন। এইসময় ইমরান তাকে, বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানান- এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে পাশে থাকার জন্য এবং পাকিস্তানে আসার জন্য। এবং এই আগমনের জন্য তিনি বলেন, শাবাস। শাবাস। প্রাউড অব ইউ।
সিধু জানান, এইসময়ে ইমরান খানের সাথে তার লম্বা সময় আলাপ হয়। পুরো অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে সিধু নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন। এবং এনডিটিভির সাংবাদিকরা জানতে চান, পাক সেনাপ্রধান সিধুর কাছে এসেছিলেন এবং দুইবার করে তাকে জড়িয়ে ধরেন। কথা বলেন। কি কথা হয় পাক সেনা প্রধানের সাথে?
সিধু হাসতে হাসতে জানান, তিনি এমনিই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পারিবারিক কুশলাদি নিয়েই কথা হয়। এবং সিধু নিজে থেকে তেমন কিছু বলেন নি বলে মিডিয়াকে জানান।
দুই শত্রুপ্রতিম দেশের এই দুই বন্ধুর মাধ্যমে হয়তো কূটনৈতিক আঙ্গিনায় বড় কোন পরির্বতন হতে পারে। ক্রিকেট বন্ধুত্ব রাজনীতিতে কি ভূমিকা রাখে তা দেখার জন্য আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে – বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
তবে, এইসব বিতর্ককে পাশকাটিয়ে সিধু মন্তব্য করেন, সবকিছুর পরেও এটা একটা পরির্বতন। এবং এই পরির্বতন এটা বড় আশার জন্ম দিয়েছে। দিচ্ছে। এটাকে তিনি খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছেন। আশা প্রকাশ করেছেন গোটা রিজিয়নের জন্য আশাবাদী হওয়ার মতোই কিছু ঘটতে যাচ্ছে।