আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে পাঁচ দফার আলোকে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ না করা হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণাসহ তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সেখানে তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের ঈদের আগেই মুক্তির দাবি জানান তারা। আজ রবিবার দুপুরে শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।
সমাবেশ থেকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো:
১. গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া,
২. কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারীদের সনাক্ত করে গ্রেফতার এবং
৩. পাঁচ দফার আলোকে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন দেওয়া।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা সমাবেশে বলেন, ঈদের আগেই সকল বন্দি শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে হবে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ‘নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন’-এ আটক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এ ছাড়া ৩১ আগস্টের মধ্যে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। না হলে এরপর কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সেখানে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম যুগ্ম-আহ্বায়ক গ্রেফতার রাশেদ খান ও রাতুল সরকারের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় জড় হতে থাকে কোটা আন্দোলনকারীরা। সেখানে ছাত্রলীগ পাল্টা মিছিল বের করে। এরপর কোটা আন্দোলনকারীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড় হওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের মহড়ার কারণে তা ভণ্ডুল হয়ে যায়। পরে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে তারা ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য জড়ো হন।