দেশবাসীকে তুর্কি লিরার প্রতি সমর্থনের আহ্বান এরদোগানের

দেশবাসীকে তুর্কি লিরার প্রতি সমর্থনের আহ্বান এরদোগানের

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ধাতু আমদানিতে তুরস্কের উপর শুল্ক বাড়িয়ে দ্বিগুন করায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর চটেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তিনি বলেন, তুরস্ককে পথে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত ভুল ছাড়া আর কিছুই না।

সম্প্রতি নানা ইস্যুতে ন্যাটোভুক্ত এই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছিল। সম্পর্কের এই অবনতিতে বিশেষভাবে সিরিয়াতে দুই দেশের স্বার্থ, তুরস্কের রাশিয়া থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ধর্ম যাজক এন্ড্রু ব্রানসনের বিচার করা উল্লেখযোগ্য।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তুরস্কের মুদ্রা লিরার মূল্য। যা ইতোমধ্যে তার এক-তৃতীয়াংশ মূল্য হারিয়েছে। লিরার মান ২০০১ সালের পরে এই প্রথম ১৮ শতাংশের নিচে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক এই ক্ষতির মোকাবেলা করতে এরদোগান প্রশাসন নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন।

এরদোগান তুর্কি লিরার প্রতি দেশবাসীকে সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যদি আপনাদের বালিশের নিচে কোনো ডলার, ইউরো চাপা পড়ে থাকে তবে এগুলোকে বের করে ব্যাংকে দিয়ে এর পরিবর্তে তুর্কি লিরা নিন এবং এভাবে আমরা আমাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে জয়লাভ করবো। কারণ এটি হচ্ছে সেই ভাষা যাতে তারা বুঝতে পারে।” তিনি এই সংকট মোকাবেলাকে ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ’র সাথে তুলনা করেছেন।

উল্লেখ্য, তুরস্কের সাথে ইরান, ইরাক এবং সিরিয়ার সীমান্ত থাকায় অর্থনৈতিক বাজারের কথা চিন্তা করে দেশটি পশ্চিমাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিল। কিন্তু সে সম্পর্কে ভাটা পড়ায় অর্থনৈতিক এ অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

লিরার মান কমে যাওয়া তুরস্কের উদ্বেগকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মার্কিন-তুর্কি সম্পর্কের ইতি হিসেবে দেখছেন। অনেকেই মনে করছেন ট্রাম্পের নতুন এই কৌশল আঙ্কারাকে হারিয়ে ফেলার জন্য যথেষ্ট।