২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বসুন্ধরা কিংস এবার উত্তীর্ণ হয়েছে এবারের সিজনের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে। ‘বসুন্ধরা গ্রুপ’ এর মালিকানায় ও স্পন্সরে দলটি কাঠামোগত দিক থেকে শুরু থেকেই বেশ গোছানো। যার ফলাফল দ্রুত সময়ে প্রিমিয়ার লিগে উর্ত্তীর্ণ হওয়া।
দলটির ক্লাব কার্যালয় ঢাকার বসুন্ধরাতে হলেও মূল বা আদিস্থান কিন্তু নীলফামারী জেলায়। আর সেখানেই তাদের এবারের হোমগ্রাউন্ড ত্রিশ হাজার ধারণক্ষমতার ‘শেখ কামাল স্টেডিয়াম’।
প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসা দলটি কাঠামোগত ভাবে বেশ শক্ত ও পরিপক্ক। রয়েছে নিজস্ব একাডেমি। সম্প্রতি অনুর্ধ ১৭ এর ট্যালেন্ট হান্ট ট্রায়াল এর ব্যবস্থা করে খেলোয়াড় বাছাই করে দলটি। বাছাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের আগামীতে ক্লাবটির মূল দলেই নয় বরং বাফুফের বয়সভিত্তিক দলগুলাতেও পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ম্যানেজার।
এবারের প্রিমিয়ার লিগে জায়গা পেয়ে বেশ কিছু চমক ও খেলোয়াড় দলবদলে নতুনত্ব দেখাচ্ছে দলটি। দলটি এবার সাইন করিয়েছে বেশ কিছু তরুণ ও জাতীয় দলের খেলোয়াড়। মিডফিল্ডে সাইন করিয়েছে হেমন্ত ভিন্সেন্ট বিশ্বাসকে। স্ট্রাইকার হিসাবে নিয়েছে তৌহিদুল আলম সবুজকে, যে কিনা জাতীয় দলের স্ট্রাইকারদের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে ধারাবাহিক গোলস্কোরার। এছাড়াও দলে ভিড়িয়েছে নুরুল নাইয়ুম ফয়সাল, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, দিদারুল, সালাউদ্দিনদের মত তরুণ তুর্কিদের। এতে বোঝা যাচ্ছে বেশ আটঘাট বেধেই এবার শক্তিশালী দল নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে নামতে যাচ্ছে দলটি।
খেলোয়াড় দলবদলের চমক ছাড়াও নতুনত্ব এনেছে দলটি। এই প্রথমবারের মতো ক্লাবে সাইন করা খেলোয়াড়দের জার্সি তুলে দিয়ে মিডিয়ার সামনে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন দলটির কোচ মোহাম্মদ আরিফুজ্জান, যা শুধু বিদেশি লিগগুলাতেই দেখা যায়।
বসুন্ধরা কিংসের মতো দলগুলোর প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এদেশের ফুটবলে নতুন বিপ্লব ঘটুক সেই আশাই করছে এইদেশের ফুটবলপ্রিয় সমর্থকরা।