আসাম সংকটে বিজেপিকে দোষারোপ কলকাতার লেখকদের

আসাম সংকটে বিজেপিকে দোষারোপ কলকাতার লেখকদের

ভারতের আসামে জাতীয় নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়া বিপন্ন বাঙালিদের পাশে দাঁড়ালেন কলকাতার লেখক-বুদ্ধিজীবীরা। আজ শুক্রবার কলকাতা প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় তারা বিজেপি সরকারের বাঙালি বিদ্বেষের অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন। আসামে জন্ম নেয়া নাট্যকার বিভাস চক্রবর্তী বলেন, “আমি আসামে জন্মেছি। আমার জন্মভূমির মানুষরা আজ বিপন্ন। এই অন্যায় কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।”

আসামের সদ্য-সমাপ্ত এনআরসিতে বাদ পড়েছে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। এই সিদ্ধান্তকে অমানবিক বলে দাবি করেছেন তারা। তারা মনে করেন, প্রতি বছরই আসামে বন্যা হয়। দুর্যোগের সময় হারিয়ে যাওয়া নথিপত্র দেখাদে না পারায়ও্র অনৈতিকভাবে অনেকের নাম নাগরিক তালিকার চূড়ান্ত খসড়া থেকে বাদ গেছে।

সভায় কবি সুবোধ সরকার বলেন, “জল আর পানিকে কোনও দিন আলাদা করা যায় না৷ হিটলারের চেয়েও খারাপ সময় চলছে৷ ৪০ লক্ষ মানুষের হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে৷”

প্রতিবাদ সভায় দুই বাংলার জনপ্রিয় সাহিত্যিক আবুল বাশার বলেন, “এতদিন শুনছিলাম মুসলমান খেদানো হবে৷ এখন দেখছি একে একে বাঙালি হিন্দুদেরও তাড়ানো হচ্ছে৷ আমরা যাব কোথায়?” শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় বলেন “আমি বাংলায় গান গাই৷ আমি অসমিয়াতেও গান গাই৷”

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কল্যাণ রুদ্র,  নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি, অভিরূপ সরকার প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চেয়েও পারেননি জয় গোস্বামী এবং শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় অবশ্য তার বক্তব্য পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, “অনুপ্রবেশ শুধু অসমের নয় বাংলারও সমস্যা। এবং সমস্যাটি গুরুতরও বটে। অনুপ্রবেশ বন্ধ করাও জরুরি। কিন্তু নাগরিকপঞ্জীর অছিলায় বৈধ নাগরিকদের উৎখাতের চেষ্টা দুর্ভাগ্যজনক। অসমে যা ঘটছে তা আমাদের উদ্বেগের বিষয়। এর প্রতিক্রিয়া দূরপ্রসারী হওয়ার সম্ভাবনা।”