হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে সংবাদকর্মীদের মানববন্ধন

হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে সংবাদকর্মীদের মানববন্ধন

সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী দুর্বৃত্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করেছে সংবাদকর্মীরা।

‘আমরা সংবাদ কর্মী’ শীর্ষক ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার করার ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। না হলে, হামলার এতদিন পরও কেন সরকার এদের বিচারের আওতায় আনতে পারেনি?

মানববন্ধনে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের চিফ রিপোর্টার পারভেজ খান বলেন, “অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে, আমার দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, আজ পর্যন্ত (গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার) তেমন কোনও বিচার পাইনি। কোনও সময় আপোষ হয়ে যায়, কোনও সময় দুঃখ প্রকাশ হয়! সুতরাং, আমি মনে করি যে, এই বিচার না হওয়ার কারণেই আজকে এই ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটছে।”

হামলাকারীদের বিচার করার ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছার প্রকাশের আশা করে তিনি বলেন, “যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে, আমাদের পেশাগত কাজে বাঁধা দিয়েছে, তারা দুর্বৃত্ত-সন্ত্রাসী; সুতরাং তারা যে দলেরই হোক না কেন, তাদের বিচারের ক্ষেত্রে সরকার সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটাবে বলে আমি আশা করি।”

সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ না হবে কিংবা কোনও দলীয় ছত্রছায়ায় থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনওভাবেই সুবিচার পাব বলে আশা করতে পারি না।

দীপ্ত টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি বায়েজিদ আহমেদ বলেন, “সরকারের ভাষ্যমতে যারা বিশৃঙ্খলাকারী, তাদের যেমন বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, আমি মনে করি, ঠিক তেমনি পেশাগত দায়িত্বপালনকালে সাংবাদিকরা যেসব দুর্বৃত্তদের হাতে বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিত।”

এছাড়াও মানববন্ধনে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার জাহিদ সেলিম, বাংলাভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার এস এম ফয়েজ, প্রথম আলোর আলোকচিত্রগ্রাহক সাজিদ হোসেনসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনের  গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন’ চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় রাজধানীর কয়েকটি স্থানে হামলার শিকার হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা। গত রবিবার জিগাতলায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) ফটোসাংবাদিক এ এম আহাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে বেসরকারি টেলিভিশন নাগরিক টিভির একটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। এ ছাড়া উত্তরা, বনানী, সায়েন্সল্যাব, ল্যাবএইড মোড়, শাহবাগ ও রামপুরা এলাকায়ও পেশাগত দায়িত্বে বাধা এবং হামলার ঘটনা ঘটে সংবাদকর্মীদের ওপর।