রোহিঙ্গাদের আরও সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদানের আহ্বান ইউএনএইচসিআর’র

রোহিঙ্গাদের আরও সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদানের আহ্বান ইউএনএইচসিআর’র

বাংলাদেশে অবস্থানরত সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আরও সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদানের জন্য এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারের প্রতিনিধি ও ব্যাবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ শরাণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সপ্তম ‘দ্য বালি প্রসেস’র মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে তিনি আহ্বান জানান। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সাথে সংহতি প্রকাশের অঙ্গীকার করার আহ্বান জানান। ইন্দোনেশিয়ার বালি’তে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলো বালি অঞ্চলের ২৬টি দেশের মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন যে তাদের অবশ্যই রাখাইন রাজ্যের জনগণের জন্য সর্বাঙ্গীন সমাধান বের করতে হবে। তাছাড়া তাদের (রোহিঙ্গা) আগের জায়গা ফিরে যেতে বাধ্য করা যাবে না।

দ্য বালি প্রসেস ৪৮টি সরকার এবং চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তার্জাতিক ফোরাম। ইউএনএইচসিআর ছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম), ইউএন অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম এর সদস্য। এটি মানুষ-চোরাচালান, মানব পাচার এবং সীমান্ত-পারাপার সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ে আলোচনা সহজ করার জন্য গঠন করা হয়েছে।

২০১৬ সালে মার্চ মাসে, বালি ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হয়। এতে উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানের সংঘবদ্ধ পদক্ষেপ, তাদের উন্নয়ন এবং শরণার্থী ও অভিবাসন প্রার্থীদের জন্য নিরাপদ পথ খুঁজে বের করাকে গুরুত্ব দেয়া হয়।

গত বছর আগস্টের শেষ দিক থেকে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। গ্রান্ডি বিভিন্ন দেশের সরকারকে তাদের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

“আপনার সরকার কি সহায়তা করছে, উদাহরণস্বরূপ, তারা কি বাংলাদেশে কোন হাসপাতাল তৈরি করেছে।” গ্রান্ডি বলেন। তিনি রোহিঙ্গাদের চিকিৎসাসেবা উন্নত করার কথা জানান।

“আমরা কি বাংলাদেশের উন্নয়নে সাহায্য করতে বাণিজ্য ও অভিবাসন-সংক্রান্ত পদক্ষেপগুলো চিন্তা করতে পারি না, যাদের কাঁধে নয় লাখ শরনার্থীর দায়িত্ব রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশিদের জন্য অতিথি কর্মীদের কোটা বাড়িয়ে তাদের রেমিটেন্স বৃদ্ধি করা এবং বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক কমানোর মতো কাজ করার চিন্তা করতে।

ইউএনএইচসিআর প্রধান আরও বলেন যে, বাস্তব সমাধান রয়েছে মিয়ানমারের নিজেদের মধ্যে। তিনি রাখাইনের মূল সমস্যা পরিমাপের জন্য আঞ্চলিক সহায়তাও চেয়েছেন।

এসময় উপস্থিত ব্যাবসায়ী নেতারাও বক্তব্য রেখেছেন। যেখানে তারা এই উদ্দ্যোগকে মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্ব বলেছেন।