বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পুলিশের ব্লক রেইড

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পুলিশের ব্লক রেইড

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসহ আশপাশ জুড়ে ‘ব্লক রেইড’ চালিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় এ অভিযান শুরু হয়।  রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিল। এই অভিযানের খবর মিডিয়াতে প্রচারের সাথে সাথে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে।

সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে রাস্তায় ত্রুটিপূর্ণ গাড়িগুলো নামানোর আয়োজন শুরু হয়ে গেছে ইতমধ্যে। অন্যদিকে এই আন্দোলনে যারা শামিল হয়েছিলেন তাদের প্রতি নির্মম আচরণের জন্য সারা বিশ্বে নিন্দার আওয়াজ উঠলেও সরকার সব কিছুকেই ‘গুজব’ বলে প্রচার করতে মিডিয়াগুলোকে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ করে আসছেন সমাজ কর্মি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক্টিভিস্টরা।

এর মধ্যে নতুন করে শুরু হয়েছে গ্রেফতার ও রিমান্ড আতঙ্ক। ইতমধ্যে প্রায় ৩০ জন ছাত্রকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদেরকে রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  এই রিমান্ড অর্ডার নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও কর্মিরা।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ডিএমপির গুলশান বিভাগ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও রিজার্ভ পুলিশের প্রায় এক হাজার সদস্য কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় জড়ো হন। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, বসুন্ধরা আবাসিক এলকায় একদল তরুণ লাঠি নিয়ে জড়ো হচ্ছেন -এমন খবরের প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু ছাত্রদের মেসে-বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে এই অভিযানে কতজন গ্রেফতার হয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি।

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত-কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায়, অতিরিক্ত কমিশনার ডিবি আবদুল বাতেন, যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মুস্তাক আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা পুলিশ সদস্যদের ব্রিফ করেন। পরে পুলিশ সদস্যরা ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে অভিযান শুরু করেন।

অভিযানের আগেই ঘটনাস্থলে আনা হয় পুলিশের বিশেষ সাঁজোয়া যান, কমান্ডিং কারসহ অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রদের নিরাপত্তা নিয়ে নাগরিক সমাজ উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন মিডিয়াকে।