ছাত্রলীগ ও পুলিশের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিলেন কোটা আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর। গতকাল মধ্যরাতে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাইভে আসেন। চলমান ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন নিয়ে কথা বলার সময় তিনি এই আহ্বান করেন। তিনি স্পষ্টভাবে হাতুড়ি সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলার ছাত্রসমাজ কখনোই কিছুর সাথে আপোষ করে না। এই সকল হেলমেট সন্ত্রাস, হাতুড়ি সন্ত্রাসদের পরাজিত করতেই হবে। তিনি আরও বলেন, যেখানে যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন সেখানে ডান-বাম রাজনৈতিক বিষয়ের উর্ধ্বে গিয়ে নিজের নৈতিকতার জায়গা থেকে যোগ দিন। আন্দোলন থেকে সরে না যাওয়ারও পরামর্শ দেন নুরুল হক নুর।
অন্যদিকে ‘আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে লোক দিয়ে হামলা করানো হয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। নুর বলেন, “ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস যেখানে অবশ্যই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা থাকে। সুতরাং সেখানে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে কখনোই হামালা চালানো ইম্পসিবল, কখনোই সম্ভব নয়। এই হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি একটি ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ। আপনারা দেখেছেন, কোটা আন্দোলনকে দমন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যারের বাসায় ভাঙচুর করে ছাত্রদের ফাসানোর একটা অপচেষ্টা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তেমনি লোক দিয়ে হামলা করা হয়েছে। একটি কুচক্রী মহল আন্দোলনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে এই কাজ করেছে।”
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানিয়ে তুলে ধরেন হামলার ঘটনা তিনি বলেন, “আপনারা দেখেছেন আজকের কি মর্মান্তিকভাবে আমার ভাইবোনের উপর হামলা করা হয়েছে। আফতাবনগওে ইস্টওয়েস্টের ক্যাম্পাসে পুলিশ ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীরা মিলে ক্যাম্পাসটিকে রণক্ষেত্রে পরিণত করেছে। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদেও কী বেধড়ক আহত করা হয়েছে। একবার নয় একাধিকবার হামলা করা হয়েছে। হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা মিছিল বের করলে সেখানেও পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।”
সরকারের মিডিয়ায় হস্তক্ষেপের ব্যাপারে নুরুল হক নুর বলেন, সরকার মিডিয়াগুলোকে সঠিক তথ্য প্রকাশ করতে বাধা দিচ্ছে। তারপরও বিদেশি মিডিয়ায় আন্দোলনের খবর প্রকাশিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। দেশের যে সকল মিডিয়া বাধা উপেক্ষা করে সত্য সংবাদ প্রকাশ করছে তাদেরকে ধন্যবাদ দেন তিনি।
হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং দাবি বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং আন্দোলন চলবে।
Posted by নুরুলহক নুর on Monday, August 6, 2018