‘শিক্ষার্থীদের কিছু করার আগে আমাদেরকে গুলি করুন’

‘শিক্ষার্থীদের কিছু করার আগে আমাদেরকে গুলি করুন’

‘রক্ষা এবং আত্মরক্ষা- অসম্ভব কি?’ শীর্ষক ব্যানারে নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে আজ রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানবন্ধন করেছে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ন্যায্য দাবি নিয়ে স্কুল কলেজের ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে নেমেছে; তবে কেন তাদের ওপর হামলা হবে? বর্তমান অবস্থা থেকে খোদ লজ্জাও এখন লজ্জা পাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, গতকাল ধর্ষণ ও হত্যার গুজব ছড়ানো হয়েছে; কিন্তু ধর্ষণ কিংবা হত্যা হয়েছে কি না- ইট’স নান অফ আওয়ার কন্সার্ন! কথা হল, ধর্ষণ ও হত্যার সুযোগ ও সম্ভাবনা এই পরিস্থিতিতে রয়েছে। কাজেই কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা চাইবো, যারা আন্দোলনে নেমেছে তারা অরাজনৈতিক, তারা কোনও মার্কা বা প্রতীক চেনে না; তারা শুধু ন্যায়-নৈতিকতার আঠারো বছরের সেই উদ্দীপ্ত দৃষ্টান্ত থেকে তারা রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। সুতরাং তাদেরকে কোনও প্রকার কিছু করার আগে যেন আমাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

মানবন্ধন শেষে মিছিল নিয়ে শাহবাগ হয়ে সায়েন্স ল্যাবের দিকে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে যোগদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন বেশ কয়েকজন। নিহতরা হলেন- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এর পর থেকে ঢাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোয় বাস চলাচল একেবারেই কমে যায়। এমনকি আন্তঃজেলা বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।