• ৪৪ বলে ৭৪ রান করে ম্যাচ সেরা তামিম ইকবাল
• ৬৮ বলে ৬০ রান করেছেন সাকিব
• ২৮/৩ নাজমুল ইসলাম অপুর ক্যরিয়ার সেরা বোলিং
• সিরিজে এখন ১-১ সমতা
শেষ ওভারে নাজমুলকে বোলিংয়ে আনাটা কি ফাটকা ছিল না কি মাস্টার স্ট্রোক, সেটি নিয়ে বিশ্লেষকরাই ভাবুন। শেষ ওভারে যখন মাত্র ১৫ রান লাগে তখন এই অনভিজ্ঞ বোলারের হাতে বল তুলে দেয়াটাকে মনে হচ্ছিল চুড়ান্ত বোকামি। সে বোকামিটা করেই সাকিব জিতেছেন। শেষ ওভারে মাত্র দু রান দিয়ে দু উইকেট নিয়ে নিশ্চিত করেছেন ম্যাচ জয়। এ জয়ের ফলে সিরিজে সমতা আনলো বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরুটা নিয়মমতই হতাশার। গত ম্যাচে সৌম্যের সফলতায়! কপাল খোলে লিটনের। তাতে তিনি ইনিংস শুরু করার আনন্দ পেলেও বাংলাদেশের কোনো কাজে আসেনি। দলীয় সাত এবং ব্যক্তিগত এক রানের মাথায় নার্সের সেবা নিতে মঃনস্থির করেন তিনি। ফলাফল পয়লা উইকেটের পতন। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ওপরে উঠে আসা মুশফিকের খায়েশ জাগল খামখেয়ালির অনবদ্য চিত্র প্রদর্শনের। খেলার বয়স যখন ৩.৩ ওভার, তখন ঠিক কোন বিবেচনায় রিভার্স করতে গেলেন তিনিই ভাল বলতে পারবেন। এরপর ক্রিজে আসা সৌম্যকে নিয়ে লেখা বেহুদা বাহুল্য বৃদ্ধি। সে পথে তাই যাব না। সৌম্যের বিদায়ের পর জুটি বাধেন সাকিব-তামিম। নিকট অতীতেই শুধু নয়, এ দুজনের এক হওয়া মানেই অসাধারণ কিছু। হলও তাই। ব্যাকরণ মেনে, ব্যাকরণের বাইরে গিয়ে যত ধরনের শট খেলা যায় সবই খেললেন দু’জন। তামিম-সাকিবের ৯০ রানের জুটির ওপর ভর করে বাংলাদেশ পায় লড়াই করার মত সংগ্রহ। আউট হবার আগে তামিম ৪৪ বলে করেন ৭৪ রান। তার ইনিংসটিতে ছিল ছয়টি চার এবং চারটি ছয়। এ ইনিংসে ৭৪ করার পথে চলতি বছরে তামিম ছুয়েছেন ১০০০ রানের ল্যান্ডমার্ক। সাকিব আউট হয়েছেন ৩৮ বলে ৬০ রানের একটি কার্যকর ইনিংস খেলে। শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহর ১০ বলে ১৩ স্কোরটিকে নিয়ে যায় ১৭১ এ। এখানেও লক্ষণীয় যে, ছয়জন ব্যাটসম্যান একাধিক বল খেলার সুযোগ পেলেও সাফল্য পেয়েছেন সেই সিনিয়ররাই। লিটন করেছেন ৫ বলে ১, এবং ওয়ান ডে মেজাজে খেলে সৌম্য করেছেন ১৮ বলে ১৪!
১৭২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই পথ হারায় উইন্ডিজ। মোস্তাফিজ-সাকিব-রুবেলের তোপের মুখে পরে ৫৮ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বসে তারা। সেখান থেকে উইন্ডিজকে টেনে তোলেন ফ্লেচার এবং ব্র্যাথওয়েট। ফ্লেচার যখন কেবলই হাত খুলে খেলতে শুরু করেন তখনই সাকিব নিয়ে আসেন নাগিন নাজমুলকে। তার ছোবলেই ফনা তোলার আগেই শেষ ফ্লেচারের ৩৮ বলে ৪৩ রানেই ইনিংসটি। এরপরও রোভমান পাওয়েল, ব্রাথওয়েট এবং নার্সরা বিচ্ছিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন ফলটি অনুকুলে অানাল। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি বাংলাদেশের বোলারদের নৈপুণ্যে। অনেকদিন পর এ ম্যাচে মোস্তাফিজকে দেখা গেল স্টাইক বোলারেপ রুপে। যেটি নিঃসন্দেহে আনন্দের।