খাগড়াছড়ির দিঘীনলায় ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী কৃত্তিকা ত্রিপুরাসহ সারাদেশে আদিবাসী নারী ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে আজ শনিবার সকাল দশটায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার। এতে সংহতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
অমর শান্তি চাকমার সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, পাহাড়ি মানুষের নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার মৃত্যুর পর পরিকল্পিতভাবে নানা অজুহাতে পার্বত্য অঞ্চলে বাঙালীরা বসবাস করতে থাকে। আজ তারা আমাদের জমি দখল করে নিচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় ছাত্রলীগের নব-নির্বাচিত সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস এতে সংহতি জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, “ধর্ষক ধর্ষকই; সে না সেনাবাহিনীর, না সরকারি দলের, না বিরোধী দলের -এর বিচার হবেই। এ ধরনের কর্মসুচি আরো জোরালো হওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ দাবি জানানো যেতে পারে। তিনি সকলের প্রতি আন্তরিক। তিনি সবাইকে সমভাবে দেখেন।”
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, পাহাড়ি মানুষের উন্নয়নের জন্য পার্বত্য চুক্তি করার ২০ বছর অতিক্রান্ত হলেও তার মৌলিক বিষয়গুলো মানা হচ্ছে না। আগামী ২০ বছর মানা হবে কিনা আমরা সন্দিহান।
পাহাড়ে সেনাশাসনের ফলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তারা বলেন, পাহাড়ে সেনাশাসনের কারণে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে না। পাহাড়ে যে অরাজকতা চলছে তা বন্ধ করতে হবে।
কর্মসূচিতে বাংলাদেশ গারো পরিষদের সভাপতি অলীক নীর, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নিপুন ত্রিপুরা, সংস্কৃতিকর্মী সুস্মিতা রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুলাই খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থানায় কুত্তিকা ত্রিপুরা নামের ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রী গণধর্ষনের শিকার হয়। ধর্ষনের পর তার মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এরই প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদমূলক কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।